পাইকগাছায় ঘুড়ি উৎসব ও প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত।
মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগছা(খুলনা)প্রতিনিধি” খুলনার পাইকগাছায় ঘুড়ি উৎসব ও প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবির উদ্যোগে ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে গদাইপুর মাঠে ঘুড়ি উৎসব ও উড়ানো প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘুড়ি উৎসবে অংশ গ্রহন করেন গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘুড়ি প্রতিযোগিদের মধ্যে অপূর্ব ঘোষ, মুজাহিদ হোসেন, সৌমিক সরকার, আপন দাশ, মোজাহিদ ইসলাম, মুহাম্মদ আলী, সৌরভ চৌধুরী, সালমান খাঁ, সুজয় ঘোষ, শুভ ঘোষ, নিত্যানন্দ বিশ্বাস, পার্থ বিশ্বাস প্রমুখ। ঘুড়ি উৎসবে তাঁরা ঘুড়ি, সাপ ঘুড়ি, দোর, বেত ঘুড়িসহ নানা ধরনের ও রং বেরং এর ঘুড়ি দেখা যায়।
ঘুড়ি প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে অপূর্ব ঘোষ, ২য় স্থান অধিকার করে মুহাম্মদ আলী ও ৩য় স্থান অধিকার করে সালমান খাঁ। প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরুস্কার প্রদান করা হয। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বনবিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, বনবিবির সদস্য কার্তিক ম-ল, গনেশ দাশ, কওসার আলী প্রমুথ। ঘুড়ি উৎসব ও ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় এলাকার শিশু কিশোরসহ প্রচুর দর্শক উপস্থিত ছিলো।
ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। সুতা টেনে আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এটি বিনোদন মুলক খেলা। বহু দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতা করা হয়। পাতলা কাগজ, পলিথিন ও কাপড়ের সাথে চিকন শলকা লাগিয়ে ঘুড়ি তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ধরন, নানা উপাদানে ও নকশায় ঘুড়ি তৈরি হয়।
প্রায় ২৮ শত বছর পুর্বে চিন দেশে প্রথম ঘুড়ির উৎপত্তি হয়। পরবর্তিকালে এটি বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘুড়ির সুতা কাটাকাটি একটি মজার খেলা। আধুনিককালে ঘুড়িগুলোয় সিনথেটিক জাতিয় পদার্থের প্রচলন বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বিশ্বের নানা দেশে ওড়ানোর প্রচলন রয়েছে। দেশে বিভিন্ন উৎসবে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগীতা ও উৎসব হয়।
বনবিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান বলেন,ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই খেলা।তবে আগের মত ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায় না এখন। খেলার মাঠ,বিচারণভূমি ক্রমশ কমে আসছে একারণে ঘুড়ি ওড়ানোর পরিধি কমে আসছে। শিশু কিশোরদের উৎসাহ বাড়াতে প্রতিবছর বনবিবির আয়োজনে গদাইপুর মাঠে ঘুড়ি উৎসব ও ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা করা হয়।