কালাইয়ে বিদায় লগ্নে নিয়োগ বাণিজ্য করলেন-প্রিন্সিপাল আঃ কায়ুইম!
নিজস্ব প্রতিবেদক:-নিরেন দাস
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বহুতি গোলজারে উলুম (জি. ইউ) আলিম মাদ্রাসায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা আঃ কাইয়ুম, ম্যানিজিং কমিটির সাভাপতি ও উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল ফারুক চৌধুরী ওরফে নয়ন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
গত শনিবার (১৭ডিসেম্বর) ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকটে লিখিত অভিযোগ করার পর সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাকযোগে পাঠিয়েছেন ভূক্তভোগি তানিয়া আকতার। এছাড়াও সদয় অবগতির জন্য জেলার বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপিও দিয়েছে তিনি।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার বহুতি জি, ইউ আলিম মাদ্রাসাতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৩টি পদে ফ্যাসালিটির (উন্নয়ন) কাজ করবেন বলে ভূক্তভোগি তানিয়া আকতারসহ কয়েকজনের নিকট কাছে ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী ফারুক মিয়া। এর নিয়োগের সাথে জড়িত ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আঃ কাইয়ুম এবং ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সমপাদক আল ফারুক চৌধুরী ওরফে নয়ন চৌধুরীর নিকটে চাকরি পাওয়ার আশায় ওই ভূক্তভোগিসহ কয়েকজন ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।
গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ওই মাদ্রাসায় সরকারী ছুটির দিন নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন সংশ্লিষ্টরা। ওই নিয়োগ বোর্ডে পুলিশ এনে ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশে নিদ্ধারিত ৩জন প্রার্থী অবৈধ ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি তানিয়া আকতার। চলতি বছরের ১৭ জুলাই তারিখে একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও আয়া (নবসৃষ্ট) পদের কথা বলা আছে। ওই নিয়োগে আয়া পদে আবেদন করেন ওই ভূক্তভোগি। চাকরি পাওয়ার আশায় দুই কিস্তিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও প্রিন্সিপালের নিকট ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ওই ভূক্তভোগির পরিবর্তনে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাহিনুর ইসলামের স্ত্রী খাতিজা আকতারকে ১৫ লাখ টাকা বিনিময়ে চাকুরী পেয়েছেন বলে দাবি করেন ওই ভূক্তভোগির স্বামী ফারুক মিয়া। তবে ওই নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল এখন প্রকাশ হয়নি বা প্রতিষ্ঠানে কোন নোটিশ বোর্ডে তা ঝুলানো হয়নি। বহুতি জি, ইউ আলিম মাদ্রাসায় জালিয়াতির ও অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি ভূক্তভোগি তানিয়া আকতারের পরিবারের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাক্তন শিক্ষক জানান এমন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।’ প্রিন্সিপাল কাইয়ুম ৩১ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিদায়ের আগেই মোটা দান মারলেন৷৷
এ ব্যাপারে বহুতি জি, ইউ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আঃ কাইয়ুম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই তবে বিধিগতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামি বৃহস্পতিবার নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷
ওই মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল ফারুক চৌধুরী ওরফে নয়ন চৌধুরী বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সব মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল জানেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন,ভুক্তভোগী এক নারীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত তলদদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
২১-ডিসেম্বর-২২-ইং
নিরেন দাস,জয়পুরহাট
০১৯১৭-২১১১১২