মাগুরা জেলা প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন জেলার মহম্মদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল কাফী। ‘ক্লিন ইমেজের’র হওয়ায় তাকে ঘিরেই এখন নানা আলোচনা।
কাফি ১৯৭৩ সালের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের দৌহিত্র।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরশাদ বিরোধী স্বৈরাচার আন্দোলনে ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র থাকাকালীন সময়ে গ্রেপ্তার হন, পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে গিয়ে স্বৈরাচার পতন আন্দোলন গড়ে তোলেন।
তিনি মাগুরা জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্বৈরাচার সরকার পতনের অগ্রগামী একজন সৈনিক।
১৯৯১ তৎপরবর্তী মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং তার রাজনৈতিক জীবনে ৮/১০ বার কারাবরণ করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ কাউন্সিলের মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সংগঠক মৃত মাহবুবুল হক। অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাগুরা জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।
অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী মহম্মদপুর উপজেলায় বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ।তিনি একজন দার্শনিক, কবি, লেখক ও সাহিত্যিক বর্তমান মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কাফী।
মাগুরা-২ আসনটি মাগুরা জেলার শালিখা ও মুহম্মদপুর উপজেলা এবং সদর উপজেলার অংশবিশেষ শত্রুজিৎপুর ইউনিয়ন, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন, কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন, বেইরল পলিতা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
মাগুরা জেলা প্রতিনিধি