বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
dailyamadernatunsangbad.com - news@dailyamadernatunsangbad.com - www.facebook.com/dailyamadernatunsangbad/

সীতাকুণ্ডে শ্রমিক নুরুন নবী কে বার্ধ্য হয়ে খুন করে, তাঁরই রুমমেট নুর মোহাম্মদ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়নের একটি তেলের ডিপো থেকে বৃহস্পতিবার সকালে গলায় বিদ্যুৎতের তার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শ্রমিক মোঃ নুরুন নবী (৫১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে গ্রেফতার হওয়া তাঁরই রুমমেট নুর মোহাম্মদ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ। জানা যায়, উপজেলার ১০নং সলিমপুর ইউনিয়নের সাংগু অক্সিজেন রোড এলাকায় জনৈক মোহাম্মদ ওসমানের তেলের ডিপোতে পাহারাদার হিসাবে চাকরী করতো মোঃ নুরুন নবী। ডিপোতে একই রুমে থাকতো খুন হওয়া নুরুন নবীর সাথে ৭/৮ মাস আগে পরিচয় হওয়া আসামী নুর মোহাম্মদও। সে একটি ট্রেলার গাড়ীর হেলপার। একদিন রাতে ঘুমানোর আগে মোঃ নুরুন নবী নুর মোহাম্মদকে নেশা মিশ্রিত পেপসি খেতে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামী নুর মোহাম্মদ গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে নুরুন নবী বলৎকার করে। এরপর থেকে নুরন নবী প্রায় সময় মদ খেয়ে নুর মোহাম্মদকে বলৎকার করতো। আসামী জবানবন্দীতে বলেন, ঘটনার রাতে ২০ জুলাই রাত ১টার সময় আমাকে জোর পূর্বক বলৎকার করে। এতে আমি বেশী ব্যাথা পায়। এসময় আমি নুরুন নবীকে লাথি মেরে সরিয়ে দিলে সে মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। এরপর একটি বিদ্যুৎতের তার দিয়ে নুরুন নবীকে গলায় পেঁচিয়ে খুন করি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর নুরুন নবীর কাছে থাকা চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে প্রথমে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা করি। পরে মনে হয় যেখানেই পালিয়ে যায় না কেন পুলিশ ধরে ফেলবে। সে চিন্তা করে আসামী নুর মোহাম্মদ ডাকাতরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে খুন হওয়া নুরুন নবীর পরিবারকে ফোন করে জানান। মূলত বলৎকারের প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান নুর মোহাম্মদ। এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ জানান, ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতা, নিহত ব্যক্তির দেহ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড যে, ডাকাতদের দ্বারা সংঘটিত হয়নি তা বুঝতে পেরে নিহতের সাথে থাকা নুর মোহাম্মদকে কৌশলে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায়, সে হত্যার কথা পুলিশকে জানান। আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধি ১৬৪ মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করে হত্যার দায় স্বীকার করে।