পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-পটিয়ায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় ফের হামলায় ১১ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বানীগ্রাম তিতা গাজীর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহতরা হলেন আহমেদ হোসেন প্রকাশ মির আহমেদ (৪১), জালাল আহমেদ (৫২), ছাবের আহমেদ (৪৮), মোহাম্মদ হাফেজ (৫০), আলাউদ্দিন ফরহাদ (২৮), মোহাম্মদ সায়েম (২২), শারমিন (২৮), আব্দুল খালেক (১৭), জাফর আহমেদ (৪৩), রহিমা আক্তার (৩৭), শামিমা বেগম (৩৫)। বর্তমানে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফের হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কোলাগাঁও ইউনিয়নের তিতা গাজীর মাজার ও নুরু গাজীর মাজার পরিচালনা নিয়ে দু-গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে একটি পক্ষ মাজার জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২১ জুলাই আহমদ হোসেন ঘর থেকে বের হলে প্রতিপক্ষ লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তার উপর হামলা করে কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় আহমদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় বজল হকের ছেলে এরশাদ আলী (৩৮), সুলতান আহমদের ছেলে আলী আজগর (৪২), মৃত আবদুল জলিলের ছেলে আহম্মদ নূর (৪৩) এর বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে প্রতিপক্ষ লোকজন আহমদ হোসেনসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। বর্তমানে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমি ঘটনার খবর নিয়ে জানতে পারি আহমেদ হোসেনের পরিবার তার এক আত্বীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে জানাজায় যাওয়ার জন্য বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ১১ জনকে তারা কুপিয়ে জখম করে। যা খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা। পরবর্তীতে আমি গাড়ি পাঠিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।