রতন কান্তি দাশ , আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে নানা আবর্জনা ও পলিথিনে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় পানি। আবার বৃষ্টি বন্ধ হলে কাদায় একাকার হয়ে যায় বাজারের আশপাশ। এ সময় হাঁটাও হয়ে যায় দায়। রোদে শুকানো ছাড়া পানি সরানোর কোনো উপায়ও নেই। যার ফলে চলাচলে হচ্ছে নজিরবিহীন দুর্ভোগ। বলছিলাম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রবেশ মুখ, আনোয়ারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারের কথা। বিভিন্ন শিল্পকারখানা এবং মেগা প্রকল্পের ফলে এই উপজেলার অর্থনৈতিক চাকা সচ্ছল হলেও গত ১দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যস্ততম এই বাজারের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতিবছর বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নানামুখী প্রদক্ষেপ নেওয়া হলেও, ফুটপাত দখল, যত্রতত্র পার্কিং এর কারণে এসব প্রদক্ষেপের সুফল মিলছেনা বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, তবে অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সওজের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে চাতরী চৌমুহনী বাজার ঘুরে দেখা যায়, আবর্জনায় ছেয়ে আছে পুরা বাজার। ছড়াচ্ছে দুর্ঘন্ধ। বাজারের সিইউএফএল রোডের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ফুট সড়কে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এছাড়াও কাঁচা বাজারের ভেতর জমে আছে ময়লা পানি। যার ফলে পানির মধ্যেই সারতে হচ্ছে ঘরের বাজার। দেখা যায় পানির কারণে বন্ধ আছে অনেক দোকানপাট। এছাড়াও জলবদ্ধতা আর ময়লার করার পথচারী, শিক্ষার্থীসহ কেইপিজেড, কাফকো, সিইউএফএলের হাজার হাজার শ্রমিদকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, পিএবি সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসন ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছে। এরমধ্যে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ, চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরী, গোল চত্বরও রয়েছে। কিন্তু বছর না হতেই আবারও ড্রেনসমূহ বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছিলো।
এবিষয়ে উপজেলা চাতুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের নালা গুলো কয়েকবার পরিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অসচেতনতার কারণ নালাগুলো আবারও জ্যাম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা জরুরি।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইশতিয়াক ইমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সওজ স্পেশাল বরাদ্দ নিয়ে এসেছিলো এটির কাজ করার জন্য। এটা যেহেতু সওজের সড়ক সেহেতু এবিষয়ে ওনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
চাতরী চৌমুহনীর জলবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে জানতে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, চাতুরী চৌমুহনী থেকে সিইউএফএল হয়ে ড্রাইডগ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করবো৷ এই রাস্তার জন্য ডিপিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ডিপিপিটি পাশ হলেই আমরা কাজ শুরু করে দিবো। এই কাজটা হলে চাতরী চৌমুহনীর জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। এছাড়া চাতরী চৌমুহনী থেকে সিইউএফএল পর্যন্ত রাস্তাটার অবস্থা খুব বেহাল ছিলো আমরা সাময়িকভাবে তা ঠিক করে দিয়েছি।