ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভালুকা থেকে নেত্রকোনার দূর্গাপুর গিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন তথা কথিত সাংবাদিক রফিক।জেলা, বিভাগীয় কিংবা ঢাকা কেন্দ্রিক কোন সাংবাদিক দূর্গাপুর গেলেই তার গায়ে যেন আগুন লেগে যায়।তার অপরাধ কর্মকান্ডের ঝুড়িতে বিয়ের প্রলোভনে নারী ধর্ষনসহ চাদাঁবাজী, প্রতারনা ও তার মদদে সাংবাদিক নির্যাতনের বহু অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় সীমান্ত চোরাচালানের পৃষ্টপোষক সে। এমন অভিযোগ হরহামেশাই মিলে। ভালুকা থেকে গিয়ে দূর্গাপুরে অনেক প্রভাবশালীর মাথায় যেন কাঠাল ভেঙে খাচ্ছে এই রফিক। গত ২ আগস্ট রফিকের নেতৃত্বে একদল বিতর্কিত গণমাধ্যম কর্মী দূর্গাপুরের নাজিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন এ কর্মরত ও গনমাধ্যমকর্মী আরজেএফের জয়েন্ট সেক্রেটারিকে, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরে নিয়ে দূর্গাপুর প্রেসক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের কে অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করে,তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারন করে। শুধু তাই নয়, তাদের কাছ থেকে একাধিক সাদা কাগজে সাক্ষর নেন। উক্ত দুই সাংবাদিক তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, রফিক কোয়ালিটির কথিপয় সাংবাদিক নাখোশ হন! এই চক্রটির হাতে ই সীমান্ত চোরাচালানকারী, বালু খেকো কথিপয় রাজনৈতিক দলের চাঁদাবাজ নেতা কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। ছল চাতুরী আর অপরাধ কর্মে সহযোগিতা করে দূর্গাপুর বাসীর মাথায় কাঠাল ভেঙে খাচ্ছে তথাকথিত সাংবাদিক রফিক! এদের কুট কৌশলে ও ইন্দনে, আমাদের সময় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ওলি হাসান কলি সহ অনেকেই নির্যাতিত হয়েছে। নেত্রকোনা থেকে মূলধারার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক চোরাচালান চক্র, বালু খেকো চক্র ও কতিপয় রাজনৈতিক চাঁদাবাজ নেতাদের তথ্য অনুসন্ধানে গেলে, রফিক চক্রের বিরুদিতায় তারা বাধা গ্রস্ত হন। পরবর্তী সময়ে মূলধারার সাংবাদিকরা, তাদের প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টে কোন না কোন ভাবে, তাদেরকে ইঙ্গিত করে যান ।
নির্যাতিত ও নিপিড়ীত সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় আছেন, তিনি ও তার আরেক সহকর্মী দূর্গাপুরের নাজিরপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তথাকথিত সাংবাদিক রফিক এর নেতৃত্বে পথরোধ করে দাড়ান। পরে তাদের কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দূর্গাপুর প্রেসক্লাবে নিয়ে আসেন।সেখানে ভিডিও তে দেখা যায়, আরও কয়েকজন সাংবাদিক অপেক্ষা করছিল! তাদেরকে রুমে প্রবেশ করিয়ে ই রফিকের নেতৃত্বে কতিপয় সাংবাদিক চড়াও হয়ে অস্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এ সময় তাদেরকে দূর্গাপুরে সাংবাদিকতা না করার জন্য হুমকি প্রদান করে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে ভিডিও ধারন করে। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেঞ্জারে সেই ভিডিও চালাচালি করে। এ ব্যাপারে দূর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম রফিক জানান, দূর্গাপুরে কতিপয় সাংবাদিক বিভিন্ন অফিস আদালতে ডিসটার্ব ও চাঁদাবাজি করছে। গত ২ আগস্ট দুই সাংবাদিক কে ধরে প্রেসক্লাবে এনে, শাসিয়েছি এবং দূর্গাপুরের অফিস আদালতে ঢুকতে নিষেধ করেছি। কোন সাংবাদিক কে ধরে আনার রাইট আছে কি না জানতে চাইলে, তিনি জানান, সাংবাদিক হিসেবে তাদের কে ধরে এনেছি ও শাসিয়েছি। কোন ব্যক্তি তাদের কাছে বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে উক্ত সাংবাদিকের পেশাগত ও চাদাবাজীর কোন অভিযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কোন লিখিত অভিযোগ নাই তবে মানুষে বলে! উল্লেখ্য, দূর্গাপুরে একাধিক সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে। বহিরাগত কোন সাংবাদিক তথ্য অনুসন্ধানে দূর্গাপুর এলাকায় গেলে, কতিপয় চাঁদাবাজ সাংবাদিকের মাথায় যেন হাঁড়ি ভেঙে পড়ে!