মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি//
দিনাজপুর দশ মাইলে ইয়াসমিন ধর্ষণের২৮ বছর ট্রাজেডি দিবস পূর্ণ হইল. পুলিশী হেফাজতে ধর্ষিত ও নিহতের ঘটনার আজ ২৮ তম বছর হয়ে যাওয়ার পরেও ইয়াসমিনের মা প্রতি বছরে ইয়াসমিনের জন্য দোয়া মাহফিল সহ তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন!
মৃত ইয়াসমিনের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সরকারিভাবে এবং কোন রাজনৈতিক বা কোন অঙ্গ সংগঠন কোনভাবেই আমাদের খোঁজখবর নেয় না! প্রতিবছর আসলেই সাংবাদিকরা এসে শুধু আমার বক্তব্য নিয়ে যায় কিন্তু কি করবো বক্তব্য নেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় সেই দিনের কথা আমার মেয়েটিকে নির্মমভাবে পুলিশের হেফাজতে থাকার কথা কিন্তু পুলিশ নিজের হেফাজতে না রেখে পুলিশরা নিজেরাই আমার মেয়েটিকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছেন ! মৃত ইয়াসমিনের মা দুঃখের সাথে আরো জানান আমার মেয়ের জন্য অনেকেই সেই সময় প্রতিবাদ করেছেন ! প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেহ আহত হয়েছে তাদের জন্য আমি দোয়া করি ! পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে জানাই এইভাবে আর কোন মেয়েকে ধর্ষণ করবেন না কারণ যে মেয়ে ধর্ষণ হয় তার বাবা মায়ের বুকের ভিতরের যে দুঃখ শুধু তারাই জানে একজন ধর্ষিতার মা. এবং পরিবারের কি কষ্ট ! আমার মেয়ের মত আর কারো মেয়ে যেনো এইভাবে ধর্ষিত না হয়! তাই সবাই দোয়া করবেন আমার মেয়েটি যেন আল্লাহ জান্নাতবাসী করেন !
এদিকে বৃহস্পতিবার ২৮শে আগস্ট দুপুর ১২ টায়۔
সমাজ তান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর আয়োজনে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে ইয়াসমিন হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে
এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঘণ্টা বেবি ! মানববন্ধনকারীরা জানান পুলিশ ইয়াসমিনকে গণধর্ষণ করেছেন শুধু পুলিশ নয় বর্তমানে এখন অনেক মেয়ে সাধারণ মানুষের জন্য ধর্ষণ হচ্ছে আর কোন মেয়ে যেন ধর্ষণ না হয় এই প্রতিবাদে আজ আমরা দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতি বছর ২৪ আগস্ট দিনাজপুরে ইয়াসমিন ট্রাজেডি দিবস পাশাপাশি ইয়াসমিন ধর্ষণ সহ অন্যান্য কোন মেয়ে যেন ধর্ষণ না হয় এই কারণে
২৪ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়।
দিনাজপুর জেলার এক নং আসনের সংসদ সদস্য শ্রী গোপাল এমপি বলেছেন ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার জন্য
সেই সময় বিচারের দাবিতে আমি সহ স্থানীয় লোকজন সবাই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ে চিলাম পুলিশ বিষয়টি পতিতা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল ! সেইসময় পুলিশ ২৭শে আগস্ট নির্বিচারে জনসাধারণের উপর গুলি চালায় সে সময় নিহত হন সামু۔ সিরাজ۔ কাদেরসহ সাতজন ! আহত হয়েছিলেন আনুমানিক প্রায় ৩ শতাধিক এরও বেশি .তেখন থেকেই দিনাজপুর সহ সারাদেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসসে.দীর্ঘ ২৮ বছর হয়ে যাওয়ার পরেও সামু۔সেরাজ۔ কাদেরসহ নিহতদের পরিবারগুলি সরকারি বেসরকারিভাবে তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি!
সাধারণ জনগণ যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তেখন পুলিশ নিজেদের পরনের কাপড় তো শুধু পড়তে পারেনি নিজের জীবন রক্ষা করার জন্য.পুলিশ দিনাজপুর থেকে পালিয়ে যায় ! সেটা দেখেই বুঝা যায় সাধারণ জনগণসহ আমি কি ভূমিকা পালন করেছিলাম .আমি দুঃখের সাথে জানাই ইয়াসমিনের মত আর যেনো কোন মা۔কোন বোন۔কোন নারী ধর্ষণ না হয় ২৮শে আগস্ট ইয়াসমিন টেজে্ডী দিবস হিসেবে পালন করা হয় ! এই দিনটি আসলে দিনাজপুরের জন্য একটি স্মরণীয় দিন মানুষের মনে সাড়া দে! ইয়াসমিন ধর্ষণসহ হত্যার সময়ের পর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নারী-পুরুষ সহ দিনাজপুরের আমজনতা।