লোহাগাড়ায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে!
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে জমির উদ্দিন,
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আগাম জাতের আমান ধান পুরোদমে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মাঠে মাঠে কৃষক -কৃষানিরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।প্রায় ১ মাস আগে থেকে মাঠ জুড়েই পেকে আছে আমন ধান।বিআর ১১,ব্রি ধান ৭১,৭২,৭৫ পাইজাম সহ বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড জাতের ধান ইতিমধ্যে কেটে বাড়িতে তুলে এনেছেন কৃষকরা।নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে সৌরভ ছড়াচ্ছে কৃষকের ঘর।
লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ১০ হাজার ৮শ ৬৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ৩২ হাজার ৫শ ৭ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে যা ধান উৎপাদনে উচ্চ ফলনশীল।
উপজেলার চরম্ভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও আদর্শ কৃষক এনামুল হক,আব্বাস উদ্দীন,কাসেম এর সাথে কথা বললে তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই কম হওয়ার চলতি আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে।বিশেষ করে কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের নাকি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করেছেন তার জন্য ভালো ফলন হয়েছে বলে তাঁরা দাবী করেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুচোখ মেলে তাকালে দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহে সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে।
স্হানীয় কৃষক মনু মিয়া জানান, ২০০ শতক জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিছু ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন।এবারে বাজারে নতুন আমন ধান প্রতিমণে ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হওয়ায় তিনি খুশি হয়েছেন।কিন্তু অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন,এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উচ্চ ফলনশীল লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হওয়ার কারন সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং তাই ক্ষতির আশংকাটাও কেটে গিয়েছিল। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে আমি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়েছে বলে তিনি জানান ।
ক্যাপশনঃ লোহাগাড়ায় আমন ধানের ভালো ফলনে খুশি কৃষক