বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
dailyamadernatunsangbad.com - news@dailyamadernatunsangbad.com - www.facebook.com/dailyamadernatunsangbad/

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকের টাকা লুট শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন অভয়নগরের মুরাদ মোল্লা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের নাউলি গ্রামের মুরাদ মোল্লার দুর্নীতির কাছে কল্প কাহিনিও হার মানবে। এমনি এক অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি রুপালী ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পদে চাকরি করেন। ব্যাংকে চাকুরী করা অবস্থায় তিনি ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লোপাটসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে খুলনা শহরে করেছেন আলিশান বাড়ি- গাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে তিনি রুপালী ব্যাংকে চাকুরীতে যোগদান করেন। মাত্র ১৪ বছর চাকরির বয়সে তিনি শত-শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এমন কল্পকাহিনির গল্প ফাঁস হওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে তার বিরুদ্ধে তদন্তে কোটি কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা পেয়ে ব্যাংক থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও নজরে এলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে সিদ্দিপাশা ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, তার গ্রামেও রয়েছে আলিশান বাড়ি, গরুর খামার, মাছের ঘেরসহ অঢেল সম্পদ। অন্যদিকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে মুরাদের অঢেল সম্পদের কারণে রয়েছে নানা কৌতুহল। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অল্পকিছু দিনে মুরাদ যে এতো সম্পদের মালিক বনে গেছে ভাবতেও অবাক হতে হয়। আর এলাকায় ওই টাকা লোপাট কারীর রয়েছে ব্যাপক সুনাম। তিনি এলাকায় মাদ্রাসা মসজিদসহ নানা শ্রেণীর মানুষকে দান সদকা করেন। ফলে, এলাকায় মুরাদের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। যে কারণে এলাকার কেউ তার বিষয়ে খারাপ কোন মন্তব্য করেনা। ব্যাংক কর্মকর্তা মুরাদ মোল্লা অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের মোঃ রশিদ মোল্লার ছেলে। এবিষয়ে খুলনা সচেতন মহল নাগরিক সমাজের সভাপতি কুদরত-ই-খুদা বলেন, এমন অনিয়ম দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের সনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরো কঠোর হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল ওদুদ জানান, আমরা আমাদের কাজ করছি, তদন্ত করা হচ্ছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে মুরাদ মোল্লা’র মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের সিনিয়র পিন্সিপাল অফিসার এহতেশামুজ্জামান জানান, আমরা মুরাদ মোল্লার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অর্থ লোপাটের ঘটনার কিছু সত্যতা পেয়েছি, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত স্বাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।