বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
dailyamadernatunsangbad.com - news@dailyamadernatunsangbad.com - www.facebook.com/dailyamadernatunsangbad/

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় ৫ জনকে সনাক্ত করলেও,দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি

আপনারা নিশ্চিই অবগত আছেন যে, গত ১৪/১১/২০২৩ খ্রিঃ রাত্রি ১১.৩০ হতে ১৫/১১/২০২৩ খ্রিঃ রাত্রি ০২.০০ ঘটিকার মধ্যে চিরিরবন্দর থানাধীন ০৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়নের অন্তগত সরকারপাড়াস্থ মাঝাপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ এর নামে দানকৃত জমির ধানক্ষেতে ভিকটিম মোছাঃ রওশন আরা ওরফে রাইশা (২০), পিতা-মোঃ রবিউল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ উম্মে হানী, সাং-বালুবাড়ী গুচ্ছগ্রাম (হেলিপ্যাড), থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুরকে আসামী ১. মোঃ মুবিন (২৩), পিতা-মোঃ আনছার আলী, গ্রাম-চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনী (মাছ বাজার), ২. মোঃ আল-আমিন (২৬), পিতা-মোঃ আঃ গণি ওরফে দুলু, গ্রাম- চিরিরবন্দর (মাঝাপাড়া), ৩. মোঃ সাব্বির হোসেন (২৭), পিতা-মোঃ আসাদুল হক, গ্রাম-চিরিরবন্দর (রেলওয়ে কলোনী), ৪. মোঃ রাব্বি (২৬), পিতা-পালিত পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান ছবি, মাতা-মোছাঃ সালেহা বেগম, গ্রাম-চিরিরবন্দর (রেলওয়ে কলোনী), সর্ব খানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুর সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ গণধর্ষন করে। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুরে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিরিরবন্দর থানার মামলা নং-১৬ তাং-১৫/১১/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) এর ৭/৯(৩)/৩০ রুজু করা হয়। মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জাকির শিকদার এর উপর অর্পন করা হয়।

ঘটনার পরপরই সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় থানা পুলিশের

একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ মমিনুল করিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর সমন্বিত পরিকল্পনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল জনাব শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ চিরিরবন্দর থানা জনাব মোঃ বজলুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ জাকির শিকদার এসআই (নিঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর বাদশা রনি এর অংশগ্রহণে অভিযান শুরু হয়। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীর অবস্থান সনাক্ত করা হয়। অপরাধী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থান ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইং-১৮/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখ ভোরে দিনাজপুর জেলার চিরিরন্দর থানাধীন রেলকলোনী হতে ১৮.২০ ঘটিকায় তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রুবেল ইসলাম (৩০), পিতা-মৃত মকবুল হোসেন, সাং-চিরিরবন্দর রেলকলোনী, থানা-চিরিরবন্দর, জেলা- দিনাজপুরকে গ্রেফতার করা হয় এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন নরেন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া গ্রাম হতে এজাহারনামীয় ২নং আসামী মোঃ আল-আমিন (২৬), পিতা-মোঃ আঃ গণি ওরফে দুলু, গ্রাম-চিরিরবন্দর (মাঝাপাড়া), থানা- চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুরকে র‍্যাব-০৬ এর সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। তাকে গত ১৮/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখে রাত্রি ২৩.০০ ঘটিকায় চিরিরবন্দর থানার অভিযানিক দলসহ হাজির হয়।

তদন্তকালে জানা যায় যে, ভিকটিম মোছাঃ রওশন আরা ওরফে রাইশা (২০), পিতা-মোঃ রবিউল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ উম্মে হানী, সাং-বালুবাড়ী গুচ্ছগ্রাম (হেলিপ্যাড), থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুর এর সাথে মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন মাসুম এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ১৪/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখে উভয়ে চিরিরবন্দর রেলষ্টেশনে আসে। ট্রেন না পাওয়ায় তারা প্রথমে ঘুঘুরাতলী মোড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘুঘুরাতলী মোড় হতে ভ্যান চালক মোঃ মতিউর রহমান (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, সাং-নান্দেড়াই, থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুর এর ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আমেনা-বাকী কলেজের সামনে এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ জোর পূর্বক তাদের পথরোধ করে, বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া চিরিরবন্দর থানাধীন ৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ নূর আলম এর নির্মানাধীন বিল্ডিং এ নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিম মোছাঃ রওশন আরা ওরফে রাইশাকে ধর্ষনের চেষ্টাকালে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নির্মানাধীন ভবন থেকে ভিকটিম মোছাঃ রওশন আরা ওরফে রাইশা ধান ক্ষেতে পড়ে যায় এবং এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ভিকটিম মোছাঃ রওশন আরা ওরফে রাইশাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এজাহারনামীয় আসামীগণ ঘটনাস্থল হইতে দ্রুত পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত স্থান হইতে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামীদ্বয় ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে।