পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি::-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙ্গর প্রতিকের প্রার্থী শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী বলেছেন, পটিয়ায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন করা হয়েছে বলে নির্বাচনের মাটে সাধারণ ভোটারদের সাথে মিথ্যাচার করছেন তার জবাব দিতে আগামী ৭ জানুয়ারীর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নোঙ্গর প্রতিকে ভোট দিয়ে তার জবাব দিতে আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে পটিয়া লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য তিনি তার ভাই, ভাগিনা, আত্নীয় স্বজনেরকে দিয়ে হালুয়া রুটির ভাগাভাগি করেছে। ইতোমধ্যে সেই প্রভাব পটিয়ার নির্বাচনী মাটে পড়তে শুরু করেছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই সাধারণ মানুষ শোষন, শাসন আর লুটপাটের হিসেব চেয়ে তাকে প্রতিহত করছেন।
নোঙ্গর প্রতিকের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী আরো বলেন, গত ১৫ বছরে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাসে আমি এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। যারা গত ১৫ বছরে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে পারেনি তারা এবার ভোট দিতে পারবে। আর ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলেই নোঙ্গর প্রতিকে ভোট দিয়ে দীর্ঘ দিনের বঞ্চিত শোষিত নিপিড়ীত মানুষ পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে হালুয়া রুটির ভাগাভাগি থেকে রক্ষা পেতে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
তিনি সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্ধোধন পরবর্তী এক পথ সভায় এসব কথা বলেন। এসময় তিনি খরনা এলাকায় বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জনসংযোগ করেন। তখন খরনা এলাকার গ্রামীন সড়কের বেহাল দশা দেখিয়ে দিয়ে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকার লোকজন তাদের হতাশার কথা জানান। তিনি নির্বাচিত হলে পটিয়াবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
তিনি সোমবার সারাদিন উপজেলার জিরি ইউনিয়ন ও খরনা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মনসুর আলম, ইন্জিনিয়ার আবদুর রশিদ, হাজী ছৈয়দ, আবদুর রশিদ, মোহাম্মদ আলী, নাদেরুজ্জামান, ডা. জাহাঙ্গীর, আইয়ুব আলী, হারুন, আইয়ুব ভান্ডারী, ডা. রাসেল, নুর আলম, জসিম, সাদ্দাম, জাহিদ সহ আরো অনেকেই।