সুমন দাশ গুপ্ত পল্লব
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শীতের তীব্রতায় কাঁপছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দরিদ্র, অসহায়, প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু বৃদ্ধরা।উপজেলার গ্রামগঞ্জ ও সদরের অলিগলিতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ।
পৌষের মাঝামাঝি থেকে উপজেলায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বইছে শীতল হাওয়া। যার ফলে শ্রমজীবী মানুষ চরম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। শিশু-বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। সড়কে ছিন্নমুল ও হতদরিদ্রদের শীতবস্ত্র কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা জুড়ে পৌষের মাঝামাঝি ও মাঘ ১ম সপ্তাহে জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের দৈনন্দিন কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। গরিব মানুষ কাজে যেতে পারছে না। দরিদ্র, অসহায়, প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তীব্র শীত সত্ত্বেও সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ লক্ষণীয় নয়।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাপমাত্রা দিন দিন কমতে থাকায় শহরের ফুটপাতের মার্কেটগুলোতে বাড়ছে শীতবস্ত্রের বিক্রির পরিমাণ। শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পোশাক কিনছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। উপজেলার পৌরসদর ও ইউনিয়ন পরিষদের হাট বাজারে শীতবস্ত্রের বিক্রেতারা বেশি বসেছে। সারাদিনই দোকানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকছে।
পুরাতন ও নতুন সোয়েটার, জ্যাকেট, শার্ট ও ট্রাউজারসহ কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের সরবরাহ বাড়ছে। ফুটপাতের দোকানগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ।
দোকানদার সালাউদ্দিন ও নেজাম জানান, প্রতি বছরই শীতের মৌসুমে গরম কাপড়ে দোকান দিয়ে থাকে। গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হচ্ছে। বর্তমানে ফুটপাতের কাপড়ে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ছে। কারণ অল্প টাকায় মানসম্মত গরম কাপড় পাওয়া যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগ সুত্রে জানা যায় , শীতে শিশু-বৃদ্ধরা বেশি ভুগছে। তারা নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস, জ্বর, সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।