চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
প্রতারক, নারী লোভী জালাল উদ্দিন সাগরের বিরুদ্ধে এবার মামলা করলেন লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক মুনির চৌধুরী ।
ক্লিক নিউজ নামে একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে লন্ডন প্রবাসী মুনির চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছেন জালাল উদ্দিন সাগর। বানোয়াট ভিত্তিহীন মিথ্যা সংবাদে তার সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় মুনির চৌধুরী অবশেষে আদালতের শরণাপন্ন হন । চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ১৬৯/২০২৪ ।
জানা যায়, অনুমোদনহীন তথাকথিত অনলাইন পোর্টালের নাম দিয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে জালাল উদ্দিন সাগর। নিজেকে বড় সাংবাদিক দাবি করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তিসহ এমন কোন কাজ নেই যা করছে না রেজিস্ট্রেশন বিহীন ক্লিক নিউজ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক নামধারী এই জালাল।
জালাল উদ্দিন সাগর একজন চিহ্নিত ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী । বিভিন্ন থানায় ও আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে । উধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দালালী করা তার পেশা, ক্লিক নিউজ ম্যাগাজিন ও অনলাইনটির মাধ্যমে জালাল মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে যুবতীদেরকে বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেওয়াও তার ব্যবসা। এছাড়াও অনলাইনের নাম দিয়ে এই অফিসে প্রতিনিয়ত ইয়াবা আসক্ত যুবক যুবতীদের আনা গোনা হয় বলে জানা গেছে। তার প্রকাশিত ম্যাগাজিন ক্লিক সরকারী কোন অনুমোদন নেই এবং অনলাইন ওয়েব সাইট www clicknewsbd.com সরকারী অনুমোদন নেই। সাংবাদিকতার আড়ালে মূলত ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে চাদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, মডেলিং এর লোভ দেখিয়ে মেয়েদেরকে পতিতাবৃত্তিতে নামানোই তার প্রধান কাজ। স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এই ভুয়া সাংবাদিক ও প্রতারকের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পান না । যার কারণে ধরা কে সরা জ্ঞান করে একের পর এক অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন জালাল।
এদিকে ক্লিক ম্যাগাজিন ও অনলাইনের সম্পাদক জালালের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ও বিডি নিউজ ২৪ ডটকম ও প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও জালাল চাদা দাবি করেছে। চাঁদা না পেয়ে তার পোর্টাল ক্লিক ম্যাগাজিনে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যা নয় তা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেছিলেন উক্ত ব্যবসায়ী জাবেদ আবছার চৌধুরী ।
ক্লিক নিউজের বিরুদ্ধে প্রযুক্তি আইনে মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে এন্টিটেরোরিজম ইউনিট (অতিরিক্ত ডিআইজি) কে আগামি ২৭ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সাইবার ট্রাইব্যনাল মামলা নং-১০/২০২৪,চট্টগ্রাম।
গত ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে মামলা দায়ের করেন ইঞ্জিনিয়ার মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৩০দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম সি আর মামলা নং-৩১০২/২০২৩ইং (কোতোয়ালী)।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানা ও সিআইডিতে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা সিআইডি, এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশ বিষয়াটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে একটি সূত্র জানায়।
মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি