গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) জলাতঙ্ক রোগ বহনকারী কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। যে কোন সময় কামড়ে দিতে পারে রোগী বা স্বজনদের এমন আশঙ্কা নিয়েই সেবা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজন বারান্দায় আতংন্ক উৎকন্ঠায় চিতিৎসা নিচ্ছে।
মমেক হাসপাতালে তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।
এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
এই হাসপাতালের ঐতিহ্য রয়েছে, কুকুর এবং মানুষ কি করে একসাথে বসবাস করতে পারে! শয্যা সংখ্যার তুলনায় দুই তিনগুণ বেশী রোগী চিকিৎসা নিতে আসে সেখানে কুকুরের অবাধ যাতায়াত, রোগীর পাশেই বিশ্রাম এতো ভয়াবহ পরিস্থিতি বললেন স্বজনেরা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে ২৮ এপ্রিল রবিবার রাত ৮.৫৫ মিনিটে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।