মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি,
খুলনার পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ মেরামত হচ্ছে সেচ্ছাশ্রমে সংস্কার। কোন কোন জায়গায় বাঁধ কেটে পানি সরিয়ে পানি বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পাণীয় জলের সংকট। বিদ্যুৎবিহী তিনদিন কাটিয়েছে পাইকগাছা উপজেলাবাসী।
সরকারী হিসাব মতে পানিবন্দী ১৩ হাজার ৪ ৬১ টি পরিবার। যার মধ্যে সম্পুর্ন ভাবে পানি বন্দী ৮৩১ টি পরিবার। জানাগেছে বিভিন্ন এলাকায় ৩৫ টি স্থানে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গেছে। এলাকাস্থানীয়ভাবে সেচ্ছাশ্রমে করা হচ্ছে বাঁধ সংস্কারের কাজ করা হলেও জোয়ারের সময় পানি ঢুকছে এলাকায়। পানিবন্দীদের মুক্ত করতে বাঁধ কেটে পানি সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের মধ্যে যে পরিমান শুকনা খাদ্য খাবার বা খেচুড়ি দেয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এদিকে সবখানে লবণ পানিতে তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার পানির সংকট এমনটি জানিছেন দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল।তাছাড়া এসব এলাকায় লোকেরা পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে তিনি আশংকা করেন। এদিকে রোববার দুপুর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত পাইকগাছায় কোথাও বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের কবলে পরে এলাকাবাসী। দুর্যোগের সময় থেকে এসব এলাকা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করছেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল সাইফুল ইসলাম, ওসি ওবাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস,নৌ পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।