পটিয়া( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে শাহেদুল ইসলাম শাহেদ (২০) নামে পটিয়া সরকারি কলেজের মেধাবী ছাএ হত্যার ১ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার নিয়ে শংকিত তার পরিবার।
নিহত কলেজ ছাত্র শাহেদুল এর পরিবার সুএে জানা যায়, ২০২৩ ইং সালে ১ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় ফয়সাল নামে এক যুবক মোবাইল ফোনে ডেকে নেন শাহেদুল ইসলামকে ছনহরা ইউনিয়নের বাথুয়া ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ ১০/১২ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শাহেদ কে এলোপাতাড়ি লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে নিহতের মা বেবি আকতার জানান।
শাহেদুল ইসলাম হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার মা বেবি আকতার বাদী হয়ে গত ২ জুন ২০২৩ ইংরেজি তারিখে পটিয়া থানা একটি হত্যা মামলা নং ৩ (৬) ২৩ ইং দায়ের করেন।
মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা সাত আটজনকে আসামি করা হয়। তবে নিহতের সাহেদুল ইসলামের মা বেবি আকতার তার ছেলে হত্যার ফয়সাল নামে আরোও একজন জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে উর্ধতন পুলিশ প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।
নিহত শাহেদুল ছনহরার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে পটিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ঘটনার দিন রাতে নিহত শাহেদ এর বন্ধু ফয়সাল ষড়যন্ত্রমুলক মোবাইলে ফোন করে বাথুয়া ব্রিজ এলাকায় নিয়ে গেলে ১০/১২ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে নিহত শাহেদুল ইসলাম মা বেবি আকতার
বার বার বলে আসলেও রহস্যজনক কারণে ফয়সাল এর নাম বাদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন। নিহত শাহেদুল ইসলাম এর মা বেবি আকতার জানান, তার ছেলে হত্যাকারীরা আত্মীয় স্বজন নানানভাবে তাদেরকে হত্যার হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে বাদী উর্ধতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বেবি আকতার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পটিয়ার এমপি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী ও পটিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর সুদৃষ্টি কামনা করে তার ছেলে হত্যা ন্যায় বিচার দাবি করেন। বর্তমানে আসামিরা জামিনে রয়েছে বলে সুএে জানায়।
এ হত্যার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এস আই বদলি হচ্ছে ফলে বিচার নিয়ে শংকিত শাহেদুল ইসলাম এর মা বেবি আকতার জানান। এছাড়াও বর্তমানে শাহাদুল ইসলাম হত্যার তদন্ত করছেন এস আই মোহাম্মদ সেলিম।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় ওসি জসিম উদ্দিন জানান, শিগগিরই পটিয়া কলেজ ছাত্র শাহাদুল ইসলাম হত্যার চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানান। বিশ্বস্ত সুএে জানায় এ হত্যার সাথে ফয়সাল জড়িত রয়েছে দায়িত্বশীল সুএে জানায়। সুএে আরোও জানাযায়, মুলত সাহেদুল ইসলামকে বসতঘর থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন তার বন্ধু ফয়সাল। ফয়সালকে আইনের আওতায় আনা হলে খুনের মুল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে মনে করেন সচেতন মহলসহ মামলার পরিচালনা আইনজীবীর অভিমত। এখনো সাহেদুল ইসলাম খুনের একবছর পেরিয়ে গেলেও তাদের পরিবারের কান্নার আহাজারি থামছে না। কে দেবে শান্তনা?