মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি “পাইকগাছা -তালা উপজেলার সংযোস্থল কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মাণের ২ বছরে কাজ ৫ বছর পর শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ না করায় আটকে আছে সংযোগ সড়ক নির্মানের কাজ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দু’উপজেলার বাসিন্দারা।
খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছার কাটিপাড়া বাজার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারী সড়কে ২০১৯ সালে ব্রীজ নির্মাণের কার্যাদেশ হয়। পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া ও তালা উপজেলার খেরশা এলাকার সীমন্ত এলাকায় কপোতাক্ষ নদের উপর চলতি বছর ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২ বছরের কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে ৫ বছর। যার চেইনেজ ১২৬০ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৪৫ মিটার ও প্রস্থ ৫০ মিটার এবং পিএসসি গার্ডার। ব্রিজ বরাদ্দের চুক্তি মুল্য ছিল ৪কোটি ৫৪ লক্ষ ৯১হাজার ৯শ ১৮টাকা।
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় সংযোগ সড়কের নির্ন্মাণ কাজ ৬ মাস যাবৎ আটকে আছে। ব্রীজের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় জন দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে দু’উপজেলার বাসিন্দারা। সড়কের অভাব ব্রীজটি হয়ে আছে ঠুটোঁ জগন্নাথ।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ব্রিজটির সংযোগ সড়কটি আছে প্রায় ১০ফুট। ব্রিজের নকসায় আছে সড়কের দৈর্ঘ্য ৪৭৫ ফুট, ১১ফুট উচ্চতায় প্রস্ত হবে ২৪ফুট। কিন্তু সড়কের পার্শে পার্থ সারথী দাসের রেকর্ডীয় জমি। তার জমির উপর দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ করতে চান। জমি অধিগ্রহণ না করে সরকারী বিধি বহির্ভূত ভাবে এ অহেতুক দাবী মানতে রাজী নন জমির মালিক। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দাবী করছে সরকারী জায়গা দিয়ে তারা রাস্তা করছে।
পার্থ সারথীর লীজ ঘের মালিক রমজান আলী বলছেন, এখানে কোন খাস জমি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জোরপু্র্বক আমার মালিকের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা করতে চান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্সের প্রোপাইটার টিটু জানান, সরকারী জায়গা না পেলে সড়কের কাজ করা সম্ভব হবেনা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাফিন শোয়েব বলেন, এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করা হয়েছে। তালা উপজেলার খেশরার অংশের ১৩০ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু পাইকগাছার কাটিপাড়া অংশ ১৪৫ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়া জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
খুলনা-৬, সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান জানান, বিষয়টি অবগত হওয়া মাত্রই সমাধানের জন্য রাড়ুলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মজিদ গোলদারকে সমাধান করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আ. মজিদ গোলদার জানান, বিয়ষটি নিয়ে দু’পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তবে যেহেতু জমি অধিগ্রহণ না করে অন্যের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে হলে সরকারী বিধি মোতাবেক করতে হবে।