মোঃতারিকুল ইসলাম
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে আখ চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছের সাথে ঝুলিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
জানাযায়, মঙ্গলবার (১জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে মোঃ সিয়াম(১২) নামের ওই এতিম শিশুকে গাছের সাথে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে একই গ্রামের মোঃ করিম মাদবর(৬০) । সে ওই গ্রামের মৃত- সামসুল মাদবর এর ছেলে।
এলাকাবাসির একাধিক সুত্র থেকে জানাযায়, স্থানীয় রিয়াদ, রনি, রাশিদুল নামের তিনটি ছেলে মোঃ করিম মাদবর এর আঁখ ক্ষেতের আঁখ চুরি করে খায়। সন্দেহভাবে করিম মাদবর এতিম ছেলে সিয়ামকে ধরে এনে গাছের সাথে বেঁধে অমানবিকভাবে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে। এ সময় ওই শিশু চিৎকার করে বলতে থাকে দাদা আমি চুরি করি নাই। প্রয়োজন হলে আমি আপনাকে আখের দাম দিয়ে দিব। আমাকে মারবেন না। তার পরেও করিম শেখ ওই শিশুকে পিটিয়ে একটি লাঠি ভেঙ্গে ফেলে।
স্থানীয়ভাবে আরো জানা যায়, নির্যাতনের শিকার সিয়াম উপজেলার সোনারং গ্রামের মোঃ টুকু সরদার এর ছেলে। বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় এবং মা শিউলি আক্তার এর অন্যত্র বিবাহ হওয়ায় নানা মোঃ মন্নান শেখ এর কাছেই পূর্ব নিতীরা গ্রামেই বড় হয় এ এতিম ছেলেটি। মোঃ সিয়াম নিতিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র।
এবিষয় নির্যাতনের শিকার সিয়াম এর চাচা আলমগীর সর্দার বলেন যারা আঁখ চুরি করছে তাদের না ধরে আমার ভাতিজা এতটুকু শিশুকে আম গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যা আইন বহির্ভুত। আমরা শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করব এবং সংবাদ সম্মেলন করব।
এবিষয়ে শিশু নির্যাতনকারী মোঃ করিম মাদবর এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাচ্চাটি নির্দোষ, একটি অমানবিক কাজ করেছে করিম মাদবর। এবিষয় বাচ্চার পরিবার ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ বিষয়ে আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হালদার বলেন, আপনার মাধ্যমে জানলাম, আমার কাছে এখনও এবিষয় কোনো অভিযোগ আসেনি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, এ রকম কোন তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি । খোঁজ নিয়ে যদি বিষয়ের সত্যতা পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।