পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসেন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলাধীন চরপাতা ইউনিয়নের সুজন, শিপন ও পলাশের বিরুদ্ধে একই বাড়ির বাবুল কাজীর নির্মানাধীন ভবনের পিলার ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ কাজী বাড়ির বাবুল কাজীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
বিবাদীরাও একই বাড়ির বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী বাবুল কাজী ও এলাকাবাসী জানায়, বাবুল কাজীর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সীমানা প্রচীর ও ভবন নির্মানকালে শ্রমিকদের মারধর ও ভবনের নবনির্মিত পিলার ও বাউন্ডারি ভাংচুর করে এবং তার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে রাশেদ আলম সুজন, শিপন ও পলাশসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী।
ভুক্তভোগী বাবুল কাজী জানান, আমাদের খরিদকৃত ও পৈতৃক সম্পত্তিতে আমরা সীমানা প্রাচীর ও নতুন ভবন নির্মান কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা খোরশেদ আলমের ছেলে সুজন, শিপন ও পলাশের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের সীমানা প্রাচীর ও নির্মানাধীন ভবনের পিলারগুলো ভেঙে ফেলে। এসময় কাজ করতে থাকা আমার নির্মান শ্রমিক ও বাড়ির মহিলারা কথা বললে তাদের উপরও হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসী বাহিনী, ছিনিয়ে নেয় মহিলাদের হাতে ও গলায় থাকা স্বর্নালংকার।
যার পুরো ভিডিও চিত্র সিসিটিভিতে দৃশ্যমান।
বাবুল কাজী আরও জানান, এই খোরশেদ গংরা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান সুলতান মামুনুর রশীদের আত্মীয় হওয়ায় তার নাম করে আমাদের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এভাবে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে তারা।
ওই এলাকার বাসিন্দা ও ইউ,পি মেম্বার মো: মোরশেদ আলম জানান- এখানে একটি প্রভাবশালী মহলের উস্কানিতে এই অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনাটি আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। এতে আমি বাধা দিতে গিয়ে নিজেও শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি এবং লাঞ্চিত হয়েছে আমার পরিবার। এই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এই বাড়ির মহিলাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে তাদের স্বর্নালংকারও ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী।
এদিকে বারবার চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন-
ঘটনার বিবরণ দিয়ে রায়পুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। উক্ত ঘটনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।