সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মালবাহী ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ২বন্ধু নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হচ্ছে নাহিদ হাসান ইমন (১৯) ও আরিফুল ইসলাম রাতুল (১৯)।
৮জুলাই সোমবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াশ ইউনিয়নের বিওসির মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের উপর এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর সুধারামের উত্তর মাছিমপুর দানা মিয়ার বাজার স্বর্ণবাড়ির মোঃ ইউসুফের ছেলে নাহিদ হাসান ইমন ও একই উপজেলার সান্তসিতা পূর্ব এজবালিয়ার আবদুর রবের ছেলে আরিফুল ইসলাম রাতুল রবিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার থেকে মোটর সাইকেলযোগে নোয়াখালীর উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
সোমবার ভোর ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনের বিওসির মোড় এলাকায় এলাকায় পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশবাহী ট্রাকের (নং- নেত্রকোনা-ট-১১-০০৪৮) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী নাহিদ হাসান ইমন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং আরিফুল ইসলাম রাতুল গুরুত্বর আহত হয়।
খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ইমনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফুল ইসলাম রাতুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রাতুল মারা যায়। নিহত নাহিদ হাসান ইমনের মামা জামাল উদ্দিন জানান, আমার ভাগিনা ইমন ও তার বন্ধু রাতুলসহ এলাকার ৬ জন ছেলে মিলে ৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে গত ৫ জুলাই কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হয়।
কক্সবাজারে বেড়ানো শেষে রবিবার রাত দেড় টার দিকে কক্সবাজার থেকে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। আমার ভাগিনা ইমন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিল। তার বন্ধু রাতুল মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। ভোরের দিকে তাদের মোটরসাইকেলটি সাতকানিয়ার বিওসির মোড় এলাকায় পৌঁছার পর কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ইমন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং তার বন্ধু রাতুল আহত হয়।
পরে সোমবার সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতুলও মারা যায়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ ইরফান জানান, নোয়াখালীর সুধারামের ইমন ও তার বন্ধু রাতুল রবিবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে কক্সবাজার থেকে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। সাতকানিয়ার বিওসির মোড় এলাকায় পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশবাহী একটি ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ইমন ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরত্বর আহত অবস্থায় রাতুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতুল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মারা যায়। ইমনের লাশ আমরা স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছি। আর রাতুলের লাশ পাঁচলাইশ থানা থেকে স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। দূর্ঘটনায় নিহত নাহিদ হাসান ইমনের মামা জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।