সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নিছে ২পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।উক্ত ঘটনায় ০৩নং নলুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ(৪৭) ও লাকী আক্তার (৩৮) আহত হয় বলে জানা যায়।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৪ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘঠে বলে জানা যায়।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬/৭জন দেখিয়ে সাতকানিয়া থানা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সহিত
বাদীর এলাকার জনৈক আব্দুল মজিদ এর সাথে পূর্ব হইতে জায়গা জমি নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত
বিরোধের বিষয়টি বাদী স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করিয়া দেওয়ার চেষ্টা করায় বিবাদীগণ বাদীর উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়। উক্ত
বিরোধের বিষয় নিয়া জনৈক আব্দুল মজিদ উপরোক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ০৪ ঘটিকার সময় আমিসহ উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
অফিসে একটি সালিশী বৈঠক হয়। উক্ত সালিশী বৈঠকে উপরোক্ত বিবাদীগণ সালিশকারকদের কথা কর্ণপাত করে নাই এবং
সালিশ বৈঠকে উপরোক্ত বিবাদীগণ দোষী প্রমাণিত হয়। এতে উপরোক্ত বিবাদীগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের
সালিশ অমান্য করিয়া অফিস হইতে বাহির হইয়া যায়। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত ঘটনার বিষয়টি
বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মিমাংশা করার পরামর্শ প্রদান করিলে আমি সবাইকে নিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
অফিস হইতে বাহির হইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কার্যালয়ের সামনে মাঠে আসি। তখন উপরোক্ত
বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ আমাকে ও জনৈক আব্দুল মজিদকে উদ্দেশ্যে করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
করিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করিলে উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে মারধর শুরু
করে। ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারিয়া আমার হাতে, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে
নীলা ফুলা জখম করে। ৩ ও ৪নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া আমার কাধে,
পেটে ও কোমড়ে নীলা ফুলা জখম করে। তখন ৩নং বিবাদী আমার ব্যবহৃত ZTE 54 মোবাইল সেট মূল্য অনুমান
১৪হাজার টাকা এবং ২নং বিবাদী আমার শার্টের পকেটে থাকা নগদ ৯,৬০০/- (নয় হাজার ছয়শত) টাকা নিয়া নেয় ।
ঐসময় আমাদের একই এলাকার লাকী আকতার (৩৮) আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করিলে ৫নং বিবাদী
লাকী আক্তারকে কিল, ঘুষি মারিয়া তাহার কাধে ও পিঠে ফুলা জখম করে। মারধরের সময় ৫নং বিবাদী লাকী আক্তার এর
পরনে থাকা ওড়না ও বোরকা টানা হেচড়া করিয়া ছিড়িয়া শ্রীলতাহানী করে। একপর্যায়ে ১নং বিবাদী লাকী আক্তার এর
হাতে থাকা হ্যান্ড ব্যাগটি নিয়া নেয় যেখানে ০১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমানএক লক্ষ
বিশ হাজার টাকা এবং নগদ পনের হাজার টাকা ছিল। ২নং বিবাদী লাকী আক্তার এর ব্যবহৃত একটি
স্যামসাং এ-১২ মোবাইল সেট নিয়ে নেয়।যার মূল্য অনুমান আঠারো হাজার টাকা হবে। ঐসময় ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয়
সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ জনৈক আব্দুল মজিদ এর মা নাজমা খাতুন (১০) কে ধাক্কা দিয়া মাটিতে ফেলিয়া দেয় এবং
তাহাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারিয়া তাহার শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমরা সকলে প্রাণ রক্ষার্থে ডাক
চিৎকার করিতে থাকিলে বহু লোকজন আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য আগাইয়া আসিলে উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা
বিবাদীগণ আমাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোথাও কোন অভিযোগ দিলে আমাদেরকে
পূনরায় মারধর সহ প্রাণে হত্যা করিয়া আমাদের লাশ গুম করিয়া ফেলিবে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন আমাদেরকে
জখমী অবস্থায় উদ্ধার করিয়া সাতকানিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়।
এব্যাপারে আব্দুল মন্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অসহায় ১জন প্রতিবন্ধী। আমার উপর বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার নির্যাতন করেন বলে জানান।
এব্যাপারে সাতকানিয়া থানার এস আই বেলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের কপি হাতে পেয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।