অজাহা ত্রিপুরা,বান্দরবান প্রতিনিধি।।
বান্দরবানে লামা উপজেলা৭ নং ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ৩০টি ইট ভাটা বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন পরিষদ লামা ।লোভী ব্যবসায়ী প্রশাসন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিশেষ করে লোকালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায়, পাহাড় কেটে ও ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছে ইট ভাটা। এসব ইট ভাটায় নেই কোন সরকারি অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া,গ্যাস ও ধুলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। হারিয়ে যাচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য,বিনষ্ট হচ্ছে আমাদের চির চেনা সবুজ প্রকৃতি ও পরিবেশ।লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ৩০ টি অবৈধ ইট ভাটাসহ লামায় সর্বমোট ৪০টি ইট ভাটা রয়েছে।বর্ষার পরপরই লামার পাহাড়ে সবুজ প্রকৃতি সাজতে শুরু হলেও সেই পাহাড়ের বুকে আঘাত শুরু করে প্রতিবছর ইট ভাটার মালিকরা।অপর দিকে, ইট ভর্তি ট্রাক গ্রামের সড়কে চলার কারণে টেকসই সড়কও ভেঙে যাচ্ছে। যা সরকারি অর্থায়নে নির্মিত কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের গ্রামীণ সড়ক নিমিষেই শেষ হচ্ছে।ইট প্রস্তুত ও ইট ভাটা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতিসাধন করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শত শত পাহাড় কেটে ইট ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করছে প্রতি বছর ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া ইট ভাটা নির্মাণ, ইট তৈরিতে কৃষি জমি বা পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করতে পারবে না। অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা,খাল, পুকুর,নদীরপাড় বা চরাঞ্চল কেটে মাটি সংগ্রহ করা যাবে না। এলজিইডির সড়ক ইট ও মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো ধরনের কাঠ পোড়ানো যাবে না। বরং মানসম্পন্ন কয়লা পোড়াতে হবে। অথচ নিয়মনীতি উপেক্ষা করেই গড়ে তোলা হয়েছে ভাটাগুলো,ভাটায় নেই পরিবেশবান্ধব চুল্লি। কয়েক বছর ধরে লাখ লাখ ঘনফুট কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এসব ইট ভাটায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ইট ভাটা তৈরিতে সরকারী নিয়ম মানানোর পাশাপাশি জনসচেতনতাও দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।লামা উপজেলাধীন ফাইতং ইউনিয়নের ৩০টি অবৈধ ইটভাটা থাকার কথা নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বলেন এসব ভাটায় ইট প্রস্তুতে পাহাড় কেটে ও পাহাড়ি লাকড়ি, গাছপালা কেটে ব্যবহার করায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তাই ইউনিয়ন ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বসত বাড়ির পাশে ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধুয়ায় ও গ্যাসের কারণে আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। গাছের ফল-ফলাদিও কমে গেছে। আবার পাহাড় কেটে যে ভাবে বন উজাড় করছে এতে আমাদের সবুজ পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, বন ও পাহাড় কেটে ফেলার কারণে আমরা এখন পানি সংকটে রয়েছি।এখন সহজে পানি পাওয়া যায়না আমরা বাঁচতে চাই। তিনি আরও জানান,ইতি মধ্যে ইট ভাটার মালিকরা পুনরায় চালু করার জন্য বিভিন্ন মহলকে মেনেস করতে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছে। অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি।