সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যেগে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার মাধ্যমে নৃশংসতায় জড়িত সকল খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮অক্টোবর সোমবার বিকাল ৩টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার কেরানি হাটে অবস্থিত সি-ওয়াল্ড রিসোর্ট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখাত আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্য ও দক্ষিণ জেলার সাবেক আমীর জাফর সাদেক,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইছহাক,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক নুরুল্লাহ,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি নুর হোছাইন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সাবেক আমীর মাওলানা আবুল ফয়েজ,দক্ষিণ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবু নাছের,
বাঁশখালী উপজেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল মোস্তফা,লোহাগাড়া উপজেলা আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী,সাঙ্গু থানার আমীর ডাক্তার আব্দুল জলিল,সাতকানিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি আসিফ উল্লাহ আরমান প্রমুখ।
উক্ত সমাবেশে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ইসহাক বলেন,শেখ হাছিনা লগি-বৈঠার মাধ্যমে মানুষ খুনের যে নির্দেশ দিয়েছিল তা যেমন কথা তেমন কাজের প্রমাণ দিয়েছিল।লগি-বৈঠার মাধ্যমে মানুষ খুন করে লাশের উপর নিত্য করেছিল হায়েনার দলের নেতা কর্মীরা।শেখ হাছিনার ইতিহাস খুনের ইতিহাস বলে অভিহিত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ জাফর সাদেক বলেন, ২৮অক্টোবর হচ্ছে নৃশংসতায় ভরা দানবীয় একটি দিন।২৮অক্টোবর বোমার কম্পনে কম্পন করেছিল বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে।তাদের উদ্যেশ্য ছিল জামায়াত শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র।হাজি সেলিম ও ডাক্তার ইকবালের নেতৃত্বে এ হত্যাকান্ড চালিয়েছিল রাজধানী জুড়ে।
তিনি বলেন, ২৮অক্টোবর হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধংসের একটি কালো দিবস অভিহিত করেন।
প্রধান অতিথি বলেন,যুদ্ধাপরাধ নামক মিথ্যা নাঠক সাজিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে খুন করেছে বলে জানান।
জাফর সাদেক বলেন,ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল বলে জানান।
কেন্দ্রীয় নেতা জাফর সাদেক বলেন,আওয়ামীলীগ দেশে বিভাজনের রাজনীতি চালু করেছিল। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ত্রাসের সেলে পরিণত করেছিল।তারা তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নব নির্বাচিত আমীর এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন,২৮অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন।১৪জন নেতা কর্মী সেইদিন শহিদ হয়েছিল হায়েনার নৃশংস থাবায়।অনতিবিলম্বে খুনিদের বিচার করতে হবে।অন্যথায় জনতার আদালত বসানো হবে বলে জানান।
সভাপতি বলেন,বাংলাদেশে কোন ধরণের খুনিদের জায়গা হবেনা।বাংলাদেশ হবে মানবিক বাংলাদেশ।তাই সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।