সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়ূব আলীর পরামর্শ, দিক নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ, সার্বিক সহযোগীতা ও তত্বাবধানে ছদাহা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায়
অনাবাদি জমিতে প্রচুর পরিমাণে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়ূব আলীর সহযোগীতায় এ বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় দরিদ্র কৃষকরা। ফলে কৃষকদের পরিবারে প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা যেমন মিটছে ঠিক একইভাবে উদ্ধৃত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয়েরও সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সাতকানিয়া উপজেলার কৃষি অফিস বলছে, পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান গড়তে পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে চারা-বীজসহ অন্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিসের পক্ষ থেকে পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন জেলার কৃষকরা। পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজির চাষ করছেন তারা। সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে সবজি চারা-বীজ পেয়ে কৃষকদের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির উঠান ও আশপাশের খালি জায়গায় সবজি চাষ করছেন। বাজারে ফল ও সবজি বিক্রি করেও তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে উপজেলায় প্রায় ১০হেক্টর বা ২৪একর পতিত জমিকে কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১৪৫২টি পরিবার সরকারের কারিগরি সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন। তারা প্রত্যেকেই ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত জমিতে পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে মুলা, লালশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, লাউ, পালংশাক, শিম, ডাটা, ধনিয়া ও ঘিমা কলমি শাকসহ নানা প্রজাতির সবজির বীজ-চারা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বাগানের মাটি উর্বর আর ফলনে পোকা দমনে ১০ কেজি রাসায়নিক সার, জৈবসার ২০ কেজি, ট্রাইকোডার্মা পাউডার, ১টি ঝাঁঝর, বীজ সংরক্ষণের পাত্রের পাশাপাশি ঘেরাবেড়ার জন্য একটি নেট এবং এ ছাড়াও ২১ প্রকার বীজ, ৬টি গাছের চারা দেওয়া হয়।
পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রতিবেদককে পরিদর্শন করে করে দেখাচ্ছিল উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আয়ূব আলী।
সাতকানিয়া ছদাহা ইউনিয়নের কৃষক আতাউর রহমান বলেন,সাতকানিয়া উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়ূব আলীর সার্বিক সহযোগীতায় পুষ্টি বাগান করে আমি লাভবান হয়েছি।পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রচুর শাক সবজি বাজারে বিক্রি করে আমি সাবলম্বী হয়েছে বলে জানান।
সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক জালাল আহমদ জানান, আমার চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে কিছু জায়গা দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। সেই পতিত জায়গায়
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়ূব আলীর সহযোগীতায়
শাক সবজির বাগান করে আমি সাবলম্বী হয়েছি বলে জানান।
সাতকানিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে সরকারি একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলালায় বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। ১৪৫২ কিষান-কিষানি পরিবারকে বিনামূল্যে বীজ-সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রকল্পের মধ্যে আম, পেয়ারা, আমড়া, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলের চারা দেওয়া হবে। কৃষকরা ফল ও সবজি চাষে সমস্যার মুখোমুখি হলে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি এবং করব আমরা।