চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি শাহজাহান কর্তৃক বিএনপি নেতাকে হয়ারানী বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আনোয়ারা উপজেলার ০১নং বৈরাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবিল আহমদ শাব্বিরসহ ভুক্তভোগীরা।
১১নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টার দিকে
চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তন তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, আমার চিন্তা চেতনা ও বুঝ ব্যবস্থার হওয়ার পর হতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি দীর্ঘ ১৭ বৎসর শৈরাচার সরকার আওয়ালীগ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত ছিলাম । বিএনপির নামধারী উত্তর বন্দর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির জসীম
উদ্দীনের সাথে আমার জেট্রাসী শাহানাজ বেগম এর সহিত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার
এবং শশুর পক্ষের সাথে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দামা চলমান রয়েছে। কিন্তু গত ০৫ই আগস্ট স্বৈরাচর সরকারের পতনের পর, যখন আমরা আনন্দ মিছিল নিয়ে হইহুল্লারে ব্যস্ত ছিলাম। অন্যদিকে বিএনপির নামধারী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের সভাপতি জনাব শাহাজাহান, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এস এম আব্দুল্লাহ হারুন চৌকন ও আনোয়ারা উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক ও বারশত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ, মোঃ মাসুদ চৌধুরীর সেগুন বাগান খুলশি, চট্টগ্রামদের যোগ সাজশে সিইউএফএল, ডিএপি-১ ও ২, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার,
ইউনাইটেড গ্রুপ এবং কেইপিজেড এর জুট ব্যবসা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি
ইত্যাদী কার্যক্রম শুরু করে । এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় ঠিকাদার এম এ আজিজ এর ব্যবসা বাণিজ্য
দখল করার জন্য গত ২৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখে দক্ষিন জেলার যুব দলের সভাপতি শাহাজাহান,উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক জনাব হাসান আহমেদ সাবেক চেয়ারম্যান ২নং বারশত ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এস এম আব্দুল্লাহ হারুন চৌকন ও মোঃ মাসুদ চৌধুরী পিতা-মোঃ সাইদুল আলম চৌধুরী, সেগুন বাগান খুলশি, চট্টগ্রামদের যোগ সাজেসে/চক্রান্তে বিএনপির নামধারী জসিম উদ্দিন এর কাছ হইতে অন্যায় লাভ করে। চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এস এম আব্দুল্লাহ হারুন চৌকনকে বাদী করে, আমি যে কিনা উত্তর বন্দর ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবিল আহাম্মদ সাব্বিরকে এজাহার নামমীয় ৫নং আসামী এবং আমার শ্যালক ছাত্রদল কর্মী সোহরাব হোসেন সৌরভকে ৬ নং আসামী করে কোতোয়ালী থানায়, এফ আই আর দায়ের করে। যাহা কোততোয়ালী থানার মামলা নং ২২(৮)২৪, এবং ২৬/০৮/২০২৪ইং ইংরেজী তারিখ রুজু করা হয় ।
বিষয়টি আমি জানতে পেরে আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন সিনিয়র নেতাদের জানাই, তাহারা সবাই আমাকে
পরামর্শ দেন যে, এই বিষয়টি চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের সভাপতি জনাব শাহাজাহান করেছে। তৎক্ষণি
আমি জনাব শাহাজাহান সাহেবের কাছে জানালাম, তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেন যে, সমস্য হবে না। আমি
তোমাদের নাম তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। কিন্তু তাহারা কথা দিলেও তাহাদের ভাব-সাব আমাকে চিন্তায়
ফেলে দেয়। পরে আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নেত্রীবৃন্দকে জানাই, আমার দুর ভাগ্য কিছু দিনের মধ্যে এস আলম এর গাড়ী কেলেংকারীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কমিটি বিলুপ্ত হয়। কথা বলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তখন আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী হিসেবে শহিদ জিয়ার আদর্শের দিকে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে ঢাকায় কেন্দ্রীয় অফিসে যায় এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জনাব রুহুল কবির রিজভী স্যারকে জানালাম ও আমার লিখিত অভিযোগ পত্রসহ তাহাকে প্রদান করলাম। তিনি আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং রিসিভ কপি আমাকে দিয়ে বলেন, তুমি চট্টগ্রাম যাও, সেখানে মাহামুদুর রহমান শামিম সাহেব আছে। তাহাকে গিয়ে এই রিসিভ কপি এবং আমি পাঠিয়েছি এই কথা বলবা। আমি হুবাহুব কপি কেন্দ্রীয় যুবদলের অফিসে গিয়ে জনাব নুরুল ইসলাম সোহেল ভাইকে একটি অভিযোগ কপি দিই। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের সভাপতি জনাব শাহাজাহান সাহেবকে আমার সামনে ফোন করেন এবং মামলার ব্যপারে মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বা দেন। আমি চট্টগ্রাম ফিরে এসে কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক জনাব মাহামুদুর রহমান শামিম সাহেবকে রিজভী স্যারের কথা বলি এবং রিসিভ কপির একটি কপি আমি ওনাকে প্রদান করি। তিনি আমাকে আশ্বাস্থ করেন কোন সমস্যা নাই, এই ব্যপারে আমি দেখবো, তুমি চিন্তা মুক্ত থাকো (কপি সংযুক্ত)। এরই ধারাবাহিকথায় মোঃ মাসুদ চৌধুরী
পিতা-মোঃ সাইদুল আলম চৌধুরী, সেগুন বাগান, খুলশি, চট্টগ্রামকে বাদী করে মাননীয় চীফ মেট্রোপলিন
ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে ২০২৪/২০২৪ইং তারিখ ২৯/০৮/২০২৪ইং আমার শ্যালকে ৬নং আসামী করে
ফৌজদারী অভিযোগ করানে, এর পরিপ্রেক্ষিতে গত দুই মাস যাবৎ আমি এবং আমার শ্যালক ঘর ছাড়া। যেহেতু
কেন্দ্রীয় ভাবে আমি কোন সমাধান পাচ্ছি না। তাই মামলার বাদীদ্বয় এর সাথে বিভিন্ন সময় সমঝোতার চেষ্টা
করি, যেহেতু আমরা নি-অপরাত। তাই গত ০৭/১১/২০১৪ইং আমি দক্ষিন জেলার যুব দলের সভাপতি জনাব শাহাজাহান, উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক জনাব হাসান আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান ২নং বারশত ইউনিয়ন,চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুব দলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এস এম আব্দুল্লাহ হারুন চৌকন ও মোঃ মাসুদ চৌধুরী, পিতা-মোঃ সাইদুল আলম চৌধুরী, সেগুন বাগান খুলশি, চট্টগ্রাম এবং বিএনপির নামধারী জসিম উদ্দিন এর সাথে বসি। তখন উক্ত ব্যক্তিগণ আমাকে শর্ত দেন যে, একজনের নাম মামলা হইতে তুললে ৪,০০০০০/-(চার লক্ষ) টাকা করে দিতে হবে। তখন আমি তাহাদের বললাম আমি একজন বিএনপি পরিবারের সন্তান জনাব জসিম উদ্দিনের সাথে আমার পারিবারিক ঝামেলা আছে, আমি মানলাম, তাই বলে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর মামলায় আমাদের নাম দিয়ে দিবেন। তখন শাহাজান সাহেব বলে, না দিলে যত মামলা হবে সেখানে নাম দিবো।তুমি যা পারো কর। প্রিয় সংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের সিনিয়র নেতারা আমাদের মত মৃণমূল কর্মী কে মূল্যায়ন না করে জসিম ও মাসুদ চৌধুরীর মত চিটার বাটপার যারা কি না, গত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর দালালি করে সুবিধা নিয়েছে, তাদেরকে এনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছেন, ব্যবসা আর টাকা আয় করার জন্য, রাজনীতি করার জন্য নয়। দলে সুনাম নষ্ট করার জন্য। মিথ্যা মামলায় নাম দিয়ে সুবিধাবাদীদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন। উপরে এক আল্লাহ আছেন, যিনি কোন দিন আপনাদের সফল হতে দিবেন না। ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় উপস্থিত সংবাদিক ভাইসহ সকলকে আজ একটা কথা বলতে চাই, সত্যের কোন মরন হয় না। সত্য সর্বদা
সত্য, আজ আপনাদের কাছে এই তেলবাজ জসিম, মাসুদ, শাহাজান, হাসান আহাম্মেদ, আব্দুল্লাহ হারুন
চোকনসহ সবার মুখোশ খুলে দিতে পেরে আমার মরণে ও শান্তি। এই জসিম বিএনপির কর্মী হিসাবে পরিচয়
দিলেও সে একজন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ট। সে এমন কোন কাজ নাই যে, করে না। এই
ফ্যাসীবাদী সরকারের সাথে থেকে সাধারণ মানুষের জমি জমা ঘর বাড়ি দখল করেছে, সবাই জানে। আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। আর কথা বাড়াতে চাই না। আমি উক্ত দালালদের বিচার চাই। আমার পরিবারের নিরাপত্তা
চাই।
সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি