চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর মো. সোলায়মান ও ইসহাক নামের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় দালালি, হামলা, টাকার বিনিময়ে নিরীহ লোকজনকে মামলায় ঢুকানো, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে । ইসহাক কচুয়াই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও সোলাইমান যুগ্ম সম্পাদক। তবে তাদের এসব অভিযোগের বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাকে সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে দিন-রাত পটিয়া থানায় এ দুই জন মানুষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দালালি করে আসছে। এমন কোন দিন নেই তাদের দুই জনকে থানায় শালিশী বৈঠকে দেখা যায়না। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এনামুল হক এনামকে স্থানীয় লোকজন এ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় দালালি ও হয়রানি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ দিলে বিএনপি নেতা এনামুল হক এনাম উক্ত সোলায়মান ও ইসহাককে থানায় না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র এই নেতার নির্দেশনা মানছেনা সোলায়মান ও ইসহাক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইসহাক জানান, এলাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বার নেই তাই মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসেন। থানা সংক্রান্ত বিভিন্ন ঝামেলায় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে লোকজনকে সহযোগীতা করছি। কাউকে মামলায় ফাঁসানোর বিষয়টি সঠিক নয়। এ সংক্রান্ত কেউ যদি প্রমান দিতে পারে যা শাস্তি দেয়, তা মেনে নিব। আমাদের বিরুদ্ধে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তবে থানায় না যেতে নয়, একটু কম যাওয়া আসা করতে বলেছেন বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভাই। পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, তাদের ব্যাপারে এখনোও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।