মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন,নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলন থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো: জসিম। তিনি বর্তমানে ঢাকায় পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জসিম ছাড়াও তার দুই সঙ্গী এবং অটোরিকসা চালক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে সেখানে বিএনপি’র সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা হন। নবীনগরের লাউর-ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক মো: মাঈন উদ্দিন গাজী জানান- সম্মেলন শেষে তারা অটোতে করে বাঞ্ছারামপুর ফেরীঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বোদাইরকান্দি নামক একটি জায়গায় পৌছার পর দেড়-দুশো লোক দা,লাঠি,কুচ,বল্লম,রড,হকিষ্টিক,রোল নিয়ে তাদের অটো ঘিরে ফিলে। তারা তকদীর হোসেন জসিমকে চিনতে পেরে বলে,’তোরে না এখানে আসতে মানা করেছি’। এরপরই তাকে অটো থেকে বের করে নিচে ফেলে লাথি মারতে থাকে এবং দা দিয়ে কোপ দেয়। দায়ের একটি কোপ তার মাথায় লাগে এবং আরেকটি কুপ তারা মাথায় দেয়া হলেও সেটি লক্ষ্যচুৎত হয়ে আমার পায়ে বিধে। অটোতে থাকা আমি ছাড়াও হামলার শিকার হন নবীনগরের কাইতলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। পরে তারা হোমনা সরকারী হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঢাকায় চলে যান। গাজী আরো জানান,বাঞ্ছারামপুর বিএনপি’র সম্মেলন বিরোধীরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে, হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্মেলনের বিরোধিতা করে আসা আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে বলেন, “দলের নির্যাতিত এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেওয়ার পর থেকেই বাঞ্ছারামপুরে বিক্ষোভ হচ্ছে।”
তিনি ঢাকায় আছেন দাবি করে “তবে তকদির হোসেন মো. জসিমের ওপর কারা হামলা করেছে বা তার ওপর হামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ঢাকায় আছি।
উল্লেখ্য,বাঞ্ছারামপুর বিএনপি’র সম্মেলন নিয়ে গত ক’দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। দলের দু’গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সোমবার সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশত জন আহত হন। একই স্থানে দু’গ্রুপ কর্মসূচী বজায় রাখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঞ্ছারামপুর পৌরশহর ও সম্মেলনস্থল এবং এর আশপাশে ১৪৪ ধারা জারী করেন। পরে এক গ্রুপ সম্মেলন গ্রামে আয়োজন করে। অন্যগ্রুপ বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে।