মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার,নবীনগর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের, ইব্রাহীমপুর ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী শেখ সাদী।
তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ইউপি নির্বাচন করেন।
ঐ নির্বাচনে ২১০৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু মোসার সাথে
২য় স্থান অধিকার করেন।
ঐ সময় লোকমুখে শুনা যায় অনেক দেনার কারণে তিনি
নবীনগরের নিজ এলাকা ইব্রাহিম পুর ত্যাগ করে সৌদি আরব চলে যান।
এর পর ২০২২ সালের দিকে দেশে ফিরে আসেন। ঐ সময় আগে থেকে ই ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোসার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন । এর পর
২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু মোসার নৌকা প্রীতিকে নির্বাচন করেন।এবং আবু মোসা কে শেখ সাদী সরাসরি সমর্থন করেন এবং তার জন্য প্রচার প্রচারণা চালান। তখন এলাকার অনেকেরই দাবী নিজ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী কে জেতাতে টাকার বিনিময়ে জাল ভোট ও নিজের ক্ষমতা ও বাহিনী প্রয়োগ করেন এবং
আবু মুসা কে নির্বাচিত করেন ঐ সময় এ নিয়ে শেখ সাদির সাথে স্হানীয়দের দাওয়া পাল্টা দাওয়ার মতন ঘটনা ঘটে যা উপস্থিত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর পর চেয়ারম্যান এর সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যান, উপস্থিত থেকে সালিশি বিচার ও করতে দেখা যায় শেখ সাদি কে, এর পর ই শেখ সাদী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর থেকে।শেখ সাদী আবার তার লেভেল বদলিয়ে দলের কিছু অস্ৎ লোক কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপির অন্যতম সংগঠন কৃষকদলের ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান,
যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দলের ত্যাগি নেতাদের মধ্যে উনারা জানান আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজ এলাকায় ঘরে থাকতে পারিনি মামলা হামলার কারণে আর আজ হাইব্রিড জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ থেকে ছেড়ে আসা সুবিধা বাদি লোক শেখ সাদি কে দলে জায়গা করে দেওয়ার জন্য কয়েকজন অসৎ নেতা চেষ্টা করছেন যা আমরা কখনো ই বাস্তব করতে দিবো না ।
এর ই ধারাবাহিকতায় ১০ ডিসেম্বর গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে নবীনগরের আনাচে-কানাচে শেখ সাদীর বিভিন্ন দলের নেতা কর্মির সাথে ছবি যুক্ত পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ শামিম আহমেদ বলেন কোন হাইব্রিড নেতা কে আমরা আমাদের বিএনপির কোন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কোন জায়গায় ঠাই দিবো না, কোন হাইব্রিডের জায়গা হবে না, আর যে অসৎ নেতা টাকার বিনিময়ে তাকে জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে ও আমরা অবস্থান নিবো,
তবে এ বিষয় জানতে বার বার চেষ্টা করে ও শেখ সাদি কে ফোনে না পাওয়ায় বিস্তারিত জানা যায় নি।