বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
dailyamadernatunsangbad.com - news@dailyamadernatunsangbad.com - www.facebook.com/dailyamadernatunsangbad/

রংপুরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত কারী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরগি মিলন গ্রেফতার।

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩

রাব্বী

বিশেষ প্রতিনিধি রংপুর:
রংপুর সিটি কপোর্রেশন ১৮ নং ওয়ার্ডের কেরাণীপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মিলন ওরফে মুরগি মিলন, হত্যা সহ এক ডর্জন মামলার আসামী,এবং তার সহযোগী সুমন ওরফে বানিয়া সুমন কে গ্রেফতার করে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো: পুলিশ।

কোতোয়ালি মেট্রো:পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে বিগত ১৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ টার সময় রংপুরের জিরো পয়েন্ট খ্যাত কাঁচারী বাজারস্থ মৌবন গলির পার্শে আইনজীবী ভবনের নিচ তলায় নিউ স্টার হোটেলের গলি তে দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক দাবানল পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব রংপুরের সহ: সভাপতি জনাব আতিকুর রহমান আতিক সংবাদ সংগ্রহ করা কালে মিলন ওরফে মুরগী মিলন এর নেতৃত্বে সুমন ওরফে বানিয়া সুমন, ইমরান সহ আরো ৯-১০ জন সন্ত্রাসী দেশিও অস্ত্র সহ চড়াও হয় তখন ভুক্তভোগী সাংবাদিকের কাছে থাকা সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যবহিৃত মোবাইল ফোন এবং তার কম্পিউটার কেনার জন্য সাথে থাকা ২৫,০০০/- টাকা কেড়ে নেয় এবং তার পরিচয়পত্র নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে কুচলিয়ে দেয়।
এবং জ‍্যাকেটের কলার ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে ।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক তখন প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে, এবং তার সাথে থাকা নাবালক সন্তান মোঃ তৌফিকুর রহমান কে লাথি মেরে উক্ত স্থান ত্যাগ করাতে বাধ্য করে।

চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী মিলন, সুমন, ইমরান আরো নাম না জানা আরো অনেকে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে বলে এ বিষয়ে কোনোরকম বারাবারি করলে তুই ও তোর ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলবো এমন হুমকী প্রদান করতে করতে দ্রুতগতিতে মোটর সাইলেক যোগে উক্ত স্থান ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক নেতাদের সাথে নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৯/১০ জন কে আসামী করে মামলা করেন যাহার মামলা জিআর নং-৩৩/২৩।
বিগত কয়েক দিন ধরে এজাহার ভুক্ত আসামীগণকে গ্রেফতার করার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গত ১৮/০১/২০২৩ খ্রি: রাত আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় রংপুরের কোতয়ালী থানাধীন কেরাণীপাড়া চৌরাস্তার মোড় থেকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম।

এ ব্যাপারে এস আই আব্দুল আলীমের সাথে কথা বলে যানা যায় অভিযুক্ত মিলন ওরফে মুরগী মিলন কে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আমাদের।
সে অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির সন্ত্রাসী,বিভিন্ন সময় সে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে তাই তাকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় এখন আইন অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে।
তদন্তের সার্থে এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

উল্লেখিত বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার স্বাক্ষী এবং নির্যাতিত ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আসিফ জানান, গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার ২০২৩ ইং সকাল আনুমানিক এগারোটার দিকে, আমার এখানে সিভি বানাতে আসেন রংপুর জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ , লক্ষ্মীন চন্দ্র দাস ও কান পঁচা রাজু।

আমার কাছে এসে বলে দ্রুত একটা সিভি বানিয়ে দিতে হবে,আমি আমার কাজের ব‍্যাস্ততা দেখালে , ক্ষেপে যান ডিজেল, লক্ষ্মীন ও কান পচা রাজু। কথাবার্তার একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করেন এবং মুরগী মিলন, বানিয়া সুমন, ইমরানসহ আরও নয় দশজনকে ডেকে আনেন যুবলীগের ওই নেতারা। ওরা এসে জনসম্মুখে লোহার রড দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটান। আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে আসলে ওরা আমার স্ত্রীকেও মারে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে আমাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন আমার স্ত্রী। তখন ওরা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার পথেও বাধা দেয়।

অনেক অনুনয়-বিনয় করে আমাকে হাসপাতালে নেন আমার স্ত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে ওই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে যুবলীগ নেতা ডিজেলের (টেক্সটাইল মোড়স্থ) অফিসে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে বাসায় যাই।

আমরা বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই ডিজেলের অফিসে থাকা পলটু নামের এক যুবক কস্তুরি হোটেলে খাওয়ার বিল বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। উপস্থিত তিন হাজার টাকা পলটুর হাতে দিয়ে কাকুতি মিনতি করে তাকে বিদায় করে আমি আবারও দোকানে এসে বসি। দোকানে বসার কিছুক্ষণ পরেই তখন রাত আনুমানিক আটটা থেকে সারে আটটা বাজে, পুনরায় মুরগী মিলন, বানিয়া সুমন, ইমরান, পলটুসহ অজ্ঞাত ৯/১০ জন এসে চাঁদা দাবি করেন। আমি তাদের অনুরোধ করে বলি এই মুহুর্তে টাকা নেই পরে দিবো।তারা আমার কোন কথায় শুনবেনা বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে বলে ওদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমাকে শেষ করে দিবে বলে পুনরায় চর থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারতে থাকে।

নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় সচেতন মহল জানান, মুরগী মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পায়না। প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ীতে অথবা প্রতিষ্ঠানে সে চাঁদা দাবী করে। এলাকার টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা আরও জানান সন্ত্রাসী মুরগী মিলন তিনটি হত্যা মামলার আসামী এবং তার নামে অগনিত মামলা রয়েছে।

এ ব্যপারে বাংলাদেশ আওয়ামী তাতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইদুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে সবোর্চ্চ শাস্তি দাবী করেন, তিনি আরো বলেন সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই।

রংপুর কোতয়ালী মেট্রো:থানার ওসি বলেন টআমরা (১)ও(২) নং আসামীকে গ্রেফতার করেছি, অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এহেনো সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।