মোঃ মামুন হোসাইন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দশমীনা উপজেলার জাফরাবাদ মাদ্রাসার সুপার শাহআলমের প্রতারণা সইতে না পেরে ইউনুছ খলিফা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া যায়। বৃদ্ধা ইউনুছ খলিফা মৃত্যুর আগের দিন। চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে তামিমা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনাকে জানান। শাহআলম মাওলানা আমার সাথে প্রতারণা করে আমার জমি লিখে নিয়ে ৪ হাজার টাকা দিয়েছে। পরবর্তীতে আমি বাকি টাকা চাইতে গেলে আমাকে ঘাড় ধাক্কা ও গালে থাপ্পড় দিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেড় করে দেয়। নিহত ইউনুছ খলিফা দশমিনা উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মৃত্যু কাশেম খলিফার মেঝো ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।বুধবার (১৮ জানুয়ারি ) সকালে ইউনুছ খলিফার স্ত্রী সালেহা বেগম দশমিনা উপজেলার কাটাখালী নিজ বাড়িতে একটি রয়না গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তার ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ ঘটনা এস্থলে এসে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠায়।
নিহত ইউনুছ খলিফা আত্মহত্যার আগের দিন সন্ধায় তামিমা ও সেলিনাকে জানান, ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার কবির ও ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার অলিউল্লার সাহায্যে তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে তার নামে ভিজিপির নাম দেয়ার কথা বলে দশমীনা নিয়ে একটি কাগজে সই নিয়ে ৪হাজার টাকা দেয়। এরপরে সাবরেজিষ্টার অফিস থেকে নোটিশ পায়। তারপরে ইউনুছ খলিফা, শাহআলমের বাড়ি যায় এবং তার পাওনা টাকা চায়। টাকা না দিয়ে তাকে থাপ্পড় দিয়ে ঘাড় ধরে ঘরথেকে নামিয়ে দেয়। এই প্রতারণা সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে । ইউনুছ খলিফার বড় ছেলে মনির, ছোট ছেলে মিজান এবং বাড়ির চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশীরা জানান। শাহআলম মূলত একজন প্রতারক তার কাজেই হলো মানুষের সাথে প্রতারণা করা, বহুলোকদের কাছে থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা পয়সা নিয়ে, চাকরি না দিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, এই প্রতারণা করার কারণেই ইউনুছ খলিফা গলায়দড়ি দিয়ে মারা গেছে। ইউনুছ খলিফা একজন নিরীহ লোক ছিল বলে
জানান এলাকাবাসি। ওই এলাকার লোক জন বলেন শাহআলম মাওলানা যে কাজ করেছে তা অমানবিক এজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরত সঠিক তদন্ত করে শাহআলমকে আইনের আওতায় আনা হোক। যাতে এধরনে কাজ আর কারো সাথে যেন না হয়। এ নিয়ে শাহআলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আমি কিছু খাঁশজমি লিচ নেয়ায় গ্রামের অনেকের সাথে আমার শত্রুতা বেড়ে গিয়াছে তাই এসব কথা বলে। আমি কারো সাথে প্রতারণা করিনাই। ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কবির জানান আমাকে দলিলের সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে আমি এর বাইরে কিছু জানিনা, দশমীনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহদী হাসানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি, এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।