স্টাফ রিপোর্টার,
মোঃ রেজাউল হক কুড়িগ্রামঃ-
কুড়িগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলায় গত ৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে কিছু সংখ্যক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শূন্য পদে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যাহার চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেন গত ৮ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে। নিয়োগপত্রে উল্লেখ থাকে স্ব- স্ব এলকার স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে। তবে জাকিয়া সুলতানা রিমু, পিতা- জাকির হোসেন, রোল নং- ১২০৭১২৪০ নাম প্রার্থীটি নিয়োগ বিধিমালা অমান্য করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাকিয়া সুলতানার স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- গোপালের খামার, ডাকঘর- ভোগডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম। নিয়োগের বিধিমালা অমান্য করে কিভাবে চাকুরী হলো এই নিয় জনমতে প্রশ্ন জেগে উঠেছে। অথচ সঠিক আবেদনকারীর চাকুরী হতে বঞ্চিত হলো। অনুসন্ধানে জানা যায়, জাকিয়া সুলতানা রিমু’র স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, পরিবার পরিকল্পনার পরিদর্শক নুনখাওয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে কর্মরত আছেন। সেই সুবাদে সকলকেই ম্যানেজ করে অবৈধ্য ভাবে জাকিয়া সুলতানা রিমুকে নিয়োগ পাইয়ে দেয়। বিধিমালা অনুযায়ী স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ভু‚মিকা খতিয়ে দেখ্য আবশ্যক। নিয়োগ বোর্ডে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের দায়িত্ব কতটুকু সঠিক ছিল এটাও খতিয়ে দেখা উচিত। একই পদে প্রার্থী মোছাঃ দুলালী আক্তার,রোল নং- ১২০৭১২২৪৪ পিতা- মোঃ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম- দক্ষিন সারিসুরি, কাপনা, নুনখাওয়া, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম। এই নিয়ে দুলালী আক্তার গত ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন নং- ১৩৯৯০। এছাড়াও গত ১০ নভেম্বও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করেন। এ নিয়ে দুলালীর বাবা শহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, জাকিয়া সুলতানা রিমুর নিয়োগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমার মেয়ে দুলালী চাকুরী হতে বঞ্চিত হলো তাই নয়, এরকম আরো একাধিক প্রার্থী রয়েছে। আপনারা সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন।