বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শীতকাল -|- ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
dailyamadernatunsangbad.com - news@dailyamadernatunsangbad.com - www.facebook.com/dailyamadernatunsangbad/

নড়াইলে নেতাজী সুভাষ বসুর১২৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন।

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম নায়ক নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়ারচর গ্রামে যুব সংঘের আয়োজনে এই দিবসি পালিত হয়।

দিবসটি পালনে গ্রামে বসেছিল ছবির মেলা। গ্রামের প্রতিটি গাছে লটকানো হয় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে স্বদেশি আন্দোলন। তেভাগা আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেওয়া প্রয়াত নেতাদের ছবি। ১৫০ জন নেতার প্রদর্শিত ছবির ক্যাম্পাসে শুরু হয় স্মরণসভা। সভা শেষে,আবৃতি,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গণভোজের আয়োজন করা হয়।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন, বাবু পরিতোষ বিশ্বাস, প্রধান অতিথি ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মলয়কান্তি নন্দী। প্রধান আলোচক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস।স্বাগত বক্তব্য দেন নেতাজী প্রেমী বাবু বিকাশ কুমার বিশ্বাস, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক এস,এম সিরাজ, সাবেক কমিশনার কল্যান মুখার্জি, মল্লিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও আগদিয়া সনাতন মন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি বাবু বিদ্যুৎ কুমার সান্যাল,মেম্বার উৎপল বিশ্বাস, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাজিব বিশ্বাস।
এ্যাডঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, গাছে গাছে ছবিগুলো ঝুলছে এরা কারা? কি তাঁদের পরিচয়? তাঁদের নিয়ে কেন এতো আলোচনা? কেন এতো আয়োজন? এ প্রজন্ম জানে না। এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে তাঁদের পরিচিতি। তুলে ধরতে হবে তাঁদের কর্মপন্থা। তুলে ধরতে হবে সেই বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। এ সমস্ত আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

নেতাজী সুবাষ বসু প্রেমি বিকাশ বিশ্বাস। তিনি বলেন,বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে সমস্ত মহান বিপ্লবীরা জীবন দিয়ে গেছেন এ প্রজন্মে তাঁদের চেনে না,জানেও না। তাঁদের কর্মময় জীবন এ প্রজন্মের কাছে পরিচিতি ঘটাতেই আমার একমাত্র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।
রাজিব বিশ্বাস বলেন,আগামিতে সংক্ষিপ্তভাবে ছবিসহ তাঁদের জীবনী এ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চাই। বই আকারে প্রকাশ করে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন পাঠাগারে দিতে চাই। এ জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।