নড়াইল প্রতিনিধি।
নড়াইলে সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গরীব অসহায় মন্টু লস্করের বয়স্ক ভাতার টাকা দীর্ঘ দিন ধরে উত্তোলন করছেন একই গ্রামের চঞ্চল মল্লিক। চঞ্চল মল্লিক এক জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা । বর্তমানে কালিয়া উপজেলায় কর্মরত আছেন। জানা গেছে, মুশুড়িয়া গ্রামের মন্টু লস্কর এক জন গরীব অসহায় মানুষ। বয়স্কভাতার জন্য একই গ্রামের চঞ্চল মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করেন। বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে মন্টুর নিকট হতে সকল প্রকার কাগজ পত্র নিয়ে নেন সুচতুর এই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা । সরকারি নিয়োমে বয়স্কভাতার কার্ড পান মন্টু লস্কর। কিন্তু নাম ঠিকানা সব সঠিক থাকলে ও মোবাইল নাম্বারটা দেন কৃষি অফিসার চঞ্চলের। নিয়মিত টাক ও উত্তোলন করছেন তিনি। অতচ কার্ডধারী মন্টু নিজেই জানে না তার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড আছে। কার্ড করার দাবি নিয়ে স্থানীয় মেম্বর তপন বিশ্বাসের নিকট যান নিজের একটা বয়স্ক ভাতার কাড করার জন্য। তখন তপন মেম্বার অফিসে খোজখবর নিয়ে জানতে পারেন তিনি এক জন বয়স্কভাতার কার্ডের সুবিধাভোগী। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভে দুঃখে আজ ( ২ ফেব্রুয়ারি) তার পাওনা টাকা ফেরত ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চঞ্চল মল্লিকের শাস্তি দাবি করে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মন্টু লস্কর।
এ বিষয়ে মন্টু লস্কর বলেন, আমি অনেক বিশ্বাস করে চঞ্চলের নিকট আমার সকল কাগজপত্র দিয়েছিলাম। এক জন সরকারি অফিসার হয়ে তার এত নিচু মন আমি এটা বুঝতে পারি নি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য তপন বিশ্বাস বলেন, প্রকৃতপক্ষে মন্টু এক জন গরীব মানুষ।যখন সে কার্ড করার কথা আমাকে বলেন তখন আমি খোজ নিয়ে দেখি তার কার্ড আছে এবং টাক উত্তোলন করছে চঞ্চল মল্লিক।
অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা চঞ্চল মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠো ফোনে বলেন, আমাদের মামা ভাগ্নের বিষয়। আমি আপনার সাথে পরে দেখা করব। নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস বলেন, এক জন কৃষি কর্মকর্তার এত নিচু কাজ কখনও মেনে নেওয়া যায় না।
উপজেলা সমসজ সেবা অফিসার উত্তম সরকার বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।