মোঃ হানিফ উদ্দিন সাকিব,
স্টাফ রিপোর্টার,
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় শালিশি বৈঠক শেষে দু’পক্ষ থানা থেকে বের হলে এক পক্ষের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন দৈনিক আমাদের সময়ের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি নুর উদ্দিন মুরাদসহ ৫ জন।
রোববার সন্ধ্যার পূর্ব মূহুর্তে কোম্পানীগঞ্জ থানার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কোম্পানীগঞ্জ থানায় বিকেল থেকে এসআই মাসুদ পারিবারিক একটি ঘটনা নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষকে নিয়ে শালিশ বৈঠক করছিলেন। ওই বৈঠকে এক পক্ষ থানার ভেতরে স্থানীয় কিশোর গ্যাংদের ডেকে আনে। উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে থানার গেইটে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মারামারি করতে করতে একজনকে ধরে নিয়ে থানার সামনের প্রধান সড়কে বেদম পেটাতে থাকে। কিশোর গ্যাং সদস্য সকলের হাতে লাঠি-পাইপ ছিল। ওই কিশোরকে মারার সময় ছবি ধারণ করতে গেলে জয়, মোহনের নেতৃত্বে অন্যান্যরা দৈনিক আমাদের সময়ের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি নুর উদ্দিন মুরাদের ওপর হামল চালায়। তাকে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় আরও ৪-৫ জন হামলার শিকার হয়। এর আগে কিশোর গ্যাং সদস্যরা থানার সামনে গাড়ী ভাংচুর ও পার্শ্ববর্তী সিদ্দিক টাওয়ারে হামলা ও ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে এসআই মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় শালিসি বৈঠক শেষ না করে এলাকার গন্যমান্যরা বিষয়টি এলাকায় সমাধান করার কথা বলে দু’পক্ষই থানা থেকে বের হয়। তারপর থানার সামনে দুপক্ষের লোকজনের মারামারির কথা শুনে আমরা সেখানে যাই। সেখানে মারামারির ছবি তুলতে গিয়ে একজন সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হবার কথা শুনেছি। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, আমি একটি মামলায় কোর্টে হাজিরা দেয়ার জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার বাহিরে আছি। তবে ওসি তদন্তকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।