বাম্পার ফলনে স্বপ্ন দেখছে বটিয়াঘাটার আমন চাষিরা!
মহিদুল ইসলাম (শাহীন) বটিয়াঘাটা >>>
আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি হয়েছেন খুলনার বটিয়াঘাটার স্থানীয় কৃষকরা। চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত খরায় বীজতলা বিলম্ব হলেও বটিয়াঘাটা কৃষি অফিসের পরামর্শে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে জমিগুলোতে এখন বাতাসে রোপা আমন ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাঁসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। চাষিরা এখন অপেক্ষায় আছেন আমন ধান ঘরে তোলার জন্য।
কৃষি দপ্তর জানায়, এবার বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান খরিপ-২ মৌসুমে ধানের আবাদ হয়েছে। যা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার, ৮শ ৩৪ মেট্রিক টন। চাষকৃত জাতের নাম হাইব্রিড ধানি গোল্ড, ব্লাক ১০, এগ্রো ১২,ব্যাভিলন, এ জেড ৭০০৬ মিলে সর্ব মোট ১১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যার ফলন হবে প্রতি হেক্টরে৬,২৫ টন। স্হানীয় জাত জটাই বালাম,বাসফুল বালাম,মরিজসাইল ও কাচড়াসহ ২২ জাতের ধান চাষ হয়েছে ১০ হাজার, ৪ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে। যা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২,৭২ মেট্রিক টন। এছাড়া উপসী জাতীয় ধানের চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। জাতিগুলি হলো বি আর-১০,১১,২২। বিনা- ১০,১৯,২৩। ব্রি ধান- ৩০,৩৪,৩৯,৪৯, ৫২, ৬৭,৬২,৭৩,৭৫,৭৬,৭৭,৭৮, ৮৭ চাষ হয়েছে। যা প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হবে ৪,৭০ মেট্রিক টন।
আমন ধান চাষি শেখ দাউদ আলী, রন্জন সরকার ও আমিন শেখ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি। আমাদের এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নান সাহেব এর পরামর্শে পোকা ও রোগ থেকে আমন ধান বাঁচাতে বালাই নাশক দেয়া হয়েছে। পোকা মাকড় ঠেকাতে কীটনাশকের পরিবর্তে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে এমনকি কৃষকদের সচেতনার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এবার আমন চাষে খরচ বাদে অধিক লাভ হবে বলে আমরা করছি।
বটিয়াঘাটা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছেন। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন উৎপাদন হবে।