মিতালী রানী দাস
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিলেট বিভাগ
১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আর এই সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নেতা কর্মীদের দৌড় যাপ। কে হবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই ভাবনা জল্পনা-কল্পনা নিয়ে হতাশায় পহর গুনছেন গ্রুপিংয়ের নেতা কর্মীরা। অনুসন্ধান দেখা যায় আদর্শের পরিবর্তে ক্ষমতার লোভই রয়েছে বেশি নেতা কর্মীদের মনে। আর ক্ষমতাসীন নেতাদের কথা যেন ভিন্নতা অনেকে সারা বছর মাঠে কাজ না করে আন্ডার গ্রাউন্ডে রাজনীতি করে অদৃশ্য ক্ষমতার বলে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী হাতিয়ে নেবেন এমন গুনজন রয়েছে সারা জেলাজুড়ে। গত ৭ বছর পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে সভাপতি হন আলহাজ্ব মতিউর রহমান এবং সিনিয়র সহ সভাপতি হন আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে ছিলেন ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন? পরবর্তীতে দেখা যায় জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকায় এক ঘরের ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী ভাগিয়ে নেন অনেকে। যে কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। যে কারনে জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে শুরু হয় গ্রুপিং। খন্ড খন্ড হতে থাকে জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে। যার জন্য গত ৭ বছর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফায়দা লুটেন জাতীয় প্রার্টির নেতা কর্মীরা। যেখানে উন্নয়ন হচ্ছে খোঁজ নিলেই সাধারণ মানুষের মুখে জাতীয় প্রার্টির নেতাদের নাম চলে আসে? আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়ন ফায়দা লুঠে আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজেদের জন্য ভোটের মাঠ তৈরী করে নিয়েছেন অন্য দলের নেতারা।নির্বাচন এলেই দেখা যায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারনে নৌকার প্রার্থীদের বড়াডুবির দৃশ্য যা দেখেছেন সবাই। এছাড়াও অনেক শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক মাঠে বছরে একদিনও কোন মিটিং মিছিল করতেও দেখা যায়নি এমন নেতারাও রয়েছেন বসন্তের কোকিলের মত ১১ তারিখের সম্মলনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী হাতিয়ে নেওয়ার আশায়। আবার অনেক ত্যাগী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতারাও রয়েছেন যারা ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতি করে রাজ পথকে দখলে রেখেছেন আন্দোলন সংগ্রাম করে জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির গ্রুরুত্বপূর্ণ একটি পদের আশায়। আবার অনেক তরুণ প্রজন্মের নেতাদের দেখা যাচ্ছে যারা
পদ পদবীর আশা না করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজের অর্থায়নে ও মেধা শ্রম দিয়ে দিনে রাতে সমাজের উন্নয়ন করে অসহায় মানুষের পাশে চলেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের স্বপ্ন পুরন করতে। যার রুপরেখা ফুটে উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃসেলিম আহমেদের মধ্যে। সারা জেলা জুড়ে যিনি ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন পরিক্ষিত নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।১১তারিখের সম্মেলনে সকল নেতাদের চেয়ে সেলিম আহমদের মধ্যে ফুটে উঠেছে ভিন্ন চিত্র।যেখানে সবাই পদপদবীর আশায় নিজেদের ঘুম হারাম করে নিয়েছেন সেখানে সেলিম আহমদের পদ পদবীর কোন টেনশন নেই। বা কে হবেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই পছন্দের কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কোন মন্তব্য নেই তার কাছে। রাত শেষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কিন্তুু সেলিম আহমদ সামাজিক উন্নয়ন শীল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে ব্যস্ত, অসহায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা স্কুল কলেজে অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছে না তাদের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারে না, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া, এইসব নিয়ে দিনরাত একজন সমাজসেবকের ভুমিকা পালন করে চলেছেন। সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃসেলিম আহমেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যার হাতেই জেলা কমিটির নেতৃত্ব দিবেন আমি তার হয়ে কাজ করবো।সুনামগঞ্জ জেলার সকল নেতাদের আমলনামা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। তিনি যাকেই নেতৃত্বের আসনে বসাবেন, আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে তার হয়ে কাজ করে যাবো।আমি আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নিবেন, তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগের মধ্যে যতই গ্রুপিং থাকুক দিন শেষে সবাই এক এবং সকল নেতাদের কাছে সুন্দর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ এক আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শ্রমিক সভাপতি সেলিম আহমদ,তিনি বলেন শেখ হাসিনা তাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ও জানান।