আবদুল মামুন, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সনাতন ধর্মালম্বীদের ঐতিহাসিক তিন দিন ব্যাপী শিবচতুর্দ্দশী মেলার সার্বিক প্রস্তুতি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সীতাকুণ্ড মেলা কমিটি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ মন্দির সড়ক মেলা কমিটির কার্যালয়ে সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী প্রেমতোষ দাস এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি শ্রী সমীর কান্তি শর্মার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাবুল কান্তি শর্মা, অতিরিক্ত সম্পাদক শ্রী দুলাল দে, সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী গৌতম অধিকারী, যুগ্মসম্পাদক বিজয় ভট্টাচার্য, যুগ্মসম্পাদক শ্রী পিন্টু ভট্টাচার্য, দপ্তর সম্পাদক শ্রী অলক ভট্টাচার্য, সহ-দপ্তর সম্পাদক শ্রী অমর শীল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী স্বপন দেবনাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শ্রী রঞ্জন দাশ, যুগ্মসম্পাদক শ্রী অজিত দে, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী নিতাই দে রিপন, অর্থ সম্পাদক অজয় পাল নান্টু, সদস্য শ্রী সুজিত পালসহ প্রমুখ।
মেলার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাবুল কান্তি শর্মা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হল তিনদিন ব্যাপী শিবচতুর্দ্দশী মেলা। এই মেলাকে ঘিরে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। মেলার মূল কার্যক্রম শুরু হবে রবিবার থেকে। ইতিমধ্যে মেলার সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি সমস্যা ও রয়েছে যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পাহাড়ে কোন মোবাইল কোম্পানীর নেটওয়ার্ক ফিকোয়েন্সির টাওয়ার নেই, যার জন্য পাহাড়ে নেটওয়ার্কে কাজ করে না ফলে তীর্থযাত্রীরা বিপদ-আপদের সম্মুখীন হলে তাদের পরিবার পরিজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমস্যায় পড়ে। সমতলে যেসব মোবাইল কোম্পানী গুলোর টাওয়ার রয়েছে এগুলোর নেটওয়ার্ক ফিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে পারবে মাত্র অত্র উপজেলায় বসবাসরত ৫ থেকে ১০ লক্ষ লোক। যার কারণে মেলা উপলক্ষে আসা ২০ থেকে ২৫ লক্ষ লোক নেটওয়ার্কের সমস্যায় পড়বে। এই সমস্যা টি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলার পরেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যাতে তীর্থযাত্রীরা এই সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্য মেলার তিন দিন যেন নেটওয়ার্কের ফিকোয়েন্সি টা কিভাবে বাড়ানো যায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর ও মোবাইল কোম্পানী গুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মেলা কমিটির অতিরিক্ত সম্পাদক শ্রী দুলাল দে বলেন, তীর্থযাত্রীদের মূল লক্ষ্য থাকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ফুট উপরে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় থাকা চন্দ্রনাথধাম পরিক্রমা করা। প্রতিবছর শিবচতুর্দ্দশীতে এ মন্দির পরিক্রমায় আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে চন্দ্রনাথ ধামে উঠেন পূর্ণ্যার্থীরা। মেলায় চতুর্দ্দশী তিথিতে ব্যাসকুণ্ডে স্নান-তর্পন, গয়াকুণ্ডে পিণ্ডদান করে তীর্থ যাত্রীরা। তাছাড়া সীতাকুণ্ডে থাকা প্রায় ৫০টি মঠ-মন্দির পরিক্রমা করবেন।