মিতালী রানী দাস,
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিলেট বিভাগ
দিরাই-শাল্লার সংসদ ডক্টর জয়া সেনগুপ্তাকে নিয়ে কটাক্ষকারী এস এম শামীমের বিরুদ্ধে একটি বিশাল মানববন্ধন করেছেন শাল্লার সর্বস্তরের জনগণ। মানববন্ধনে এক সুরে সবাই তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন কুলাঙ্গার এস এম শামীম কাদের আশ্রয়ে এসব দেশ বিরোধী কাজ করে আসছে রিমান্ডে এনে তাকে জিঙ্গাবাদ করা হউক।
শাল্লা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন শাল্লা থানা পুলিশ এস এম শামীমকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। বক্তাতারা আরো বলেন এই এস এম শামীম আওয়ামী লীগের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে জামাত-শিবিরের গুপ্তচর হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দেশ বিরোধী কাজ করে আসছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামীলীগের পদদারী নেতাদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুৎসা রটিয়ে সম্মানহানি করা তাঁর কাজ। এসব কুৎসা রটনা করতে গিয়ে একাধিকবার শাল্লার সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে এস এম শামীমকে। ২০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধনটি পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ৪নং শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অজয় তালুকদারের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রান্টু লাল দাস নান্টু,প্রচার সম্পাদক নওশের মনির,সহ-দফতর সম্পাদক অরিন্দম চৌধুরী সাগর, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কাজল কান্তি চৌধুরী,স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম মিয়া,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল বারী লেলিন,সাংগঠনিক সম্পাদক মিহির কান্তি রায়,৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুজ কান্তি দাস,যুবলীগ নেতা তফসির আলম চৌধুরী,যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু,কৃষক লীগের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবীব,যুগ্ম সম্পাদক শুধাকর দাস,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য রাফিজুল ইসলাম,মোঃ হুমায়ুন আহমেদ,অমল তালুকদার,আওয়ামী লীগ নেতা
আবু বক্কর সিদ্দিক,ইকরামুল হোসেন সহ প্রমূখ।
উল্লেখ্য১১ ফেব্রুয়ারী আনুমান সন্ধা ৭টায় দিরাই-শাল্লার আসনের সংসদ সদস্য ডক্টর জয়া সেনগুপ্তাকে নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে বাজে একটি পোস্ট করেন জামাত-শিবিরের সাবেক কর্মী ও সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু তথ্য ও প্রযুক্তি লীগের সভাপতি এস এম শামীম। পরে ১২ ফেব্রুয়ারী শাল্লা উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী
অপু বাদী হয়ে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সিলেট শহর থেকে সেখানখার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হোন শাল্লা থানা পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম।
জানা যায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যান এস এম শামীম।
প্রসঙ্গত সাবেক জামায়াত শিবির কর্মী এস এম শামীম তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে লিখেন কতবড় নির্লজ্জ সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটা লাশ।তারপর ও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, মনে হয় যেন দিরাই শাল্লা তার বাপ দাদার সম্পওি।আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কুৎসা রটিয়ে সম্মান হানী করা তার কাজ।এসব কুৎসা রটনা করতে গিয়ে একাধিকবার শাল্লার সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে এস এম শামীম কে।দাদার সম্পওি এই পোস্ট দিয়ে দিরাই শাল্লাসহ সারা দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই পোস্টে পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য করে সংসদ সদস্যের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী বাজে মন্তব্য করে এলাকায় সংঘাত সৃষ্টি করেছে শুধু।
উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত এসএম শামীম সিলেট স্বাদ এন্ড লিমিটেডে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ছিলেন।