ময়মনসিংহে জমি ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হওয়ার আশংকা করছে রফিকুল ইসলাম গং!
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ সদরের ৭৬৯ দাগে পাড়ালক্ষির আগলী মৌজায় ২৬ শতাংশ জমি পৈত্তিক সম্পত্তির মালিক সাইফুল ইসলাম দুলাল পিতা তালেব শেখ ২০০৬ সালে সাব কাওলা দলিল মূলে বিক্রি করার পর দখল বুজাইয়া দেন শাহজাহান মিয়াকে।
এদিকে শাহজাহান মিয়া দখলে থাইকা ২০১৫ সালে সাব কাওলা বিক্রি করেন ক্রেতা রফিকুল ইসলামগংদের নিকট। উক্ত ভূমি রফিকুল ইসলামগং সাব কাওলা ক্রয় করে একটি বাগান করেন। বেশ কয়েক বছর পর বাগানের গাছ গুলো মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করে।
এখন উক্ত জমি ৭৭২ দাগ যার বি.আর.এস মালিক সাইফুল ইসলাম দুলাল এর বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস পিতা তালেব শেখ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জুয়েলগং দাবী করায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, পাড়ালক্ষির আগলী মৌজায় ২৬ শতাংশ জমি সাইফুল ইসলাম দুলাল বিক্রি করার পর গত ২০০৬ ইং সালে মোঃ শাহজাহান মিয়া,পিতা-মৃতঃ সিরাজ আলী, সাং-চর গোবিন্দপুর, থানা-কোতোয়ালী জেলা-ময়মনসিংহ নিকট হইতে ক্রয় করেন।
পরবর্তীতে ২০১৫ ইং সালে উক্ত জমিতে ক্রেতাগন কাটা তারের বেড়া দিয়া সাইন বোর্ড স্থাপন করিয়া ৫০০ গাছ পালা রোপন করেন। বর্তমানে উক্ত জমি ক্রেতাগন ভোগ দখলে আছে এবং গাছপালা বড় হইতেছে। কিন্তু সাইফুল ইসলাম দুলাল যে জমি বুঝাইয়া দিয়াছে তাহার মালিক তার ভাতিজা মোঃ জুয়েলগং দাবী করে আসছে এমনকি অন্যত্র বিক্রির চেষ্টাও করছে।
ক্রেতাদের প্রকৃত ক্রয় করা জমি সাইফুল ইসলাম দুলাল এর দখলেই আছে। ক্রেতাদের দখলে থাকা জমি ফেরৎ নিয়া তাদের ক্রয়করা জমি ফেরৎ দিতে বলা হইলে সাইফুল ইসলাম দুলাল তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। সাইফুল ইসলাম দুলালকে বার বার বলা সত্বেও ক্রেতাদের দখলে থাকা জমি ফেরৎ গ্রহন না করিয়া ক্রেতাদের প্রকৃত ক্রয়করা জমি বুঝাইয়া দিতেছেনা।
ফলে ক্রেতাদের পরিবারের লোকজন ভবিষ্যতে ক্রয়করা জমিতে প্রবেশ করতে চাইলে জুয়েলগংরা বাধাঁ দিতে পারে এবং খুন জখমের দাঙ্গা হাঙ্গামার আশংকা বিদ্যমান আছে। এর প্রতিকার চেয়ে রফিকুল ইসলাম উক্ত জমির খারিজ খাজনা বন্ধের দাবিতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার এসিল্যান্ড বরাবর ৩০/১০/২২ তারিখে আবেদন করেন। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামগং ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় ২৩/১১/২২ তারিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন।