আজ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুনের গ্রামের বাড়ীতে হামলা লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ সাংবাদিকবৃন্দের আয়োজনে মঙ্গলবার ১১জুলাই সকাল ১১:৩০ টার সময় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক সংস্থা সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল আলম, দৈনিক আমার বার্তা, ইয়াহিয়া আরিফ, দৈনিক আজকের খবর, শরৎ সেলিম, জাতীয় অর্থনীতি নজরুল ইসলাম খান, নব জাগরণ টিভি সম্পাদক ও প্রকাশক সোহানুর রহমান সোহান, ঢাকা প্রতিদিনের ব্যারো চীপ মাইনউদ্দিন উজ্জ্বল, সময়ের কন্ঠের কামরুল হাসান ও মিজানুর রহমান, দূর্জয় বাংলার মোহন মিয়া, প্রতিদিনের কাগজের এড শফিকুল ইসলাম, বাংলার প্রতিদিনের জোবায়ের হোসেন মাহাবুব, উর্মি বাংলার আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার গন্ডাবেড় গ্রামের তরুন তুখোড় সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুন এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর পোস্ট দেয়ায়, সাংবাদিকের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য গত ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১ টায় ওমর ফারুক জুন্নুন এর নেতৃত্বে আইসিটি মামলার আসামী সহ একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও বাড়ীর নারী-পুরুষ সহ লোকজনদেরকে বেধড়ক ফিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা মহিলাদের গায়ের অলংকার পাতি ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে। পুলিশ এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করার পর জামিনে মুক্তি পেলেও অপরাপর আসামিরা বাড়ীর লোকজনদেরকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ঈদ পূর্ববর্তী সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুন বাড়ীতে গেলে, সন্ত্রাসীরা তা জানতে পারে। পরে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া, গত ৪ জুলাই বেলা ১টার সময় সাংবাদিকের অবস্থানগত বাড়ীতে হামলা করে। এসয় তারা বাড়ীতে অবস্থানরত নারী- পুরুষদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মহিলাদের পরিধিয় অলংকার পাতি ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের আঘাতে মমতা বেগম, মোনায়েম, আশিক, আনিস সহ আরও অনেকে আহত হয়।
তারা স্হানীয় দূর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ১৪/১৫ জনের সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেন স্হানীয় ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন ও ওমর ফারুক জুন্নুন। এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্হানীয় ভাবে দালালি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের অনেকের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। উল্লেখ্য, হামলাকারীদের সাথে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্য মোঃ জাকারিয়াকে অংশ গ্রহণ করেছিল বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে একান্ত সচিব স্মারক লিপি গ্রহণ করেন। পরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। তাৎক্ষণিক রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন।