আজ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মুহাম্মদ এমরান, বান্দরবান,
বান্দরবানের লামা উপজেলার অন্তর্গত ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল।
০১-০১-২০১৮ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।
সর্বপ্রথম নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও বর্তমানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু হয়েছে বিদ্যালয়টি’তে।
দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে খুশি অভিভাবকরা।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, অতীতে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের এলাকায় ছিলোনা। বর্তমানে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে আমরা খুবই খুশি। আমাদের সন্তানেরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কিছু শিখতেছে।
তাঁরা আরো বলেন, হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল এর শিক্ষকমণ্ডলীরা খুবই আন্তরিক। তাদের আন্তরিকতা দেখে আমরা মুগ্ধ। খুবই যত্নসহকারে এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে থাকেন। আমাদের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল।
হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল এর বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষকেরা অনেক ভালো। তাঁরা আমাদেরকে নিজের সন্তানের মতো করে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই স্কুলে ভর্তি না হলে বুঝতেও পারতামনা আমাদের এলাকায় এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এতো সুন্দর করে আদর স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আমাদের পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন যা আমরা কখনো ভুলতে পারবোনা।
হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম বাবলু বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নামে নিজস্ব জমিতে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়ে দু’শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ১৪ জন শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা তাদের পাঠদান দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আমরা সুনামের সাথে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে আসতেছি।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (বিকেএ) কতৃক আয়োজিত মেধা বৃত্তি ২০২৩ ইং এর বিভাগভিত্তিক (চট্টগ্রাম) বিভাগে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করে মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় ১২ জন শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যাতে এক প্রতিষ্ঠানে বাংলা,ইংরেজি,আরবি শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিলেবাসে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে আরবি ভাষাকে যুক্ত করা ও আল-কোরআন শেখার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম।সেইসাথে যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার শেখার সু-ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে দেওয়া হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যোগে পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম।