আজ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুমন পল্লব,
হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় ২৫ বছরের প্রতিষ্টিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার ৪ কিলোমিটারে অদুরে ৭নং ওয়ার্ডে গুচ্ছ গ্রাম (আদর্শ গ্রাম) এলাকায় প্রায় ৫ একর সরকারী ও মন্দিরে সম্মিলিত জায়গা জুড়ে এ শ্মশান কালী মন্দিরটি
অবস্থিত।
এই শ্মশান কালীটি মায়ের মন্দিরের মুল হলেও এখানে স্থাপিত রয়েছে শিব মন্দির,রাধা কৃষ্ণ মন্দির, মগ্ধেশ্বরি মন্দির এবং সার্বজনীন শ্মশান। সবকয়টি মন্দির টিন দিয়ে তৈরি হলে সংস্কারের অভাবে টিনগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে।যার ফলে বর্ষকাল হলে ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে মন্দিরে থাকা প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সরকারী ও ব্যাক্তিগত সামান্য সহযোগিতা পেলেও তা অপ্রতুল। পৌর সদরে সীমানার শেষ প্রান্তে পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় জনসমাগম যাতায়াত খুব কম। তাই পরিপূর্ণ সংস্কারে ছোঁয়া পাচ্ছেনা।তাই এই মন্দিরের তত্বাবধানে থাকা সেবায়ত সাধু ও তার পরিবার বিভিন্ন পাড়ায় বা দোকানে দোকানে গিয়ে ভিক্ষা করে মন্দিরের পুজা অর্চনা এবং বাৎসরিক মহা উৎসবে আয়োজন করে থাকে।
এখানে কয়েক বছর আগে একটি কমিটি হলেও ঠুঁটো জগন্নাথ। অর্থাৎ শক্তিমান কাজে অক্ষম এ কমিটি।
মন্দিরের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে সেবায়েত বলেন,আমি মায়ের মন্দির প্রতিষ্টা করতে অনেক কিছু সম্মখিন হয়েছি, এমনকি মৃত্যুর পথ থেকেও ফিরে এসেছি।অনেক ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফলে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।যদি সরকারী বা কোন ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি যদি এগিয়ে আসে, তাহলে মায়ের মন্দিরের স্থানটি সংস্কার করতে পারতাম।এ বছর যদি মন্দির গুলো সংস্কার করতে না পারি তাহলে সামনে বর্ষাতে মন্দিরে ভিতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করবে।
এদিকে মন্দিরে পরিচালনা কমিটি এক সদস্য প্রিয়তোষ নাথ (মাস্টার) ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সুজন দে জানান,মন্দিরটি অনেক কষ্ট করে মহারাজ পরিচালনা করছেন।যা মহারাজের জন্য অনেক দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাই এ মুহূর্তে যদি কোন দানশীল ব্যাক্তি বা সরকারী অনুদান পেলে মন্দিরটি পুজা অর্চনা সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যেত।