আজ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ৮নং ওয়ার্ডে নাক্তা আজিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মো.রুস্তুম হাওলাদার ও তার দুই ছেলে রাসেল হাওলাদার ও রাজু হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও একজন মাদ্রাসা কমিটির তৌহিদি সদস্য মো.খোকন হাওলাদার(৪৫) গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার ইসলাম প্রিয় মুসুল্লিসহ মাদ্রাসার কমিটির সদস্যরা।
তারা বলেন, আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলক নাক্তার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
মুসুল্লিরা আরো বলেন, আজিজিয়া মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা শয্য করা হবে না। দেশীয়ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসা তৈরির ইট,বালু ও সিমেন্ট ফেলে দিয়ে,মাদ্রাসার কমিটির ৫নং সদস্য খোকনকে রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।
গ্রুত্বর আহত খোকন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মাদরাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রুস্তুম হাওলাদারের নেতৃত্বে তার দুই ছেলেসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অতর্কিত হামলা ও ভাঙ্গচুর করে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর খিপ্ত হয়ে রাসেলের হাতে থাকা রামদাও দিয়ে আমার মাথার উপর কোপ দেয় ও রাজুসহ অন্যান্যরা লাথি ঘুসি মারতে থাকলে আমি মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আমার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে রেফার করেন। বর্তমানে আমি বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে আছি। মাথায় ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার সিটি স্ক্যান করার জন্য দিয়েছেন। মাদরাসা নির্মাণে বাধা দিতে এসে এ হামলার ঘটনা ঘটায় তারা। আমি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন ঝ পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।