আজ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বগুড়ার শেরপুরে সকালে বিয়ে করে বিকালেই বউ রেখে পালাল বর!
মিজানুর রহমান মিলন,
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে যুবক যুবতীকে আপত্তিকর অবস্খায় আটক করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে পড়িয়ে দেন গ্রামবাসী ।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ ঘটিকার সময় তিরাইল গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র মোঃ আব্দুস সোবাহান জুনাইদ কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গ্রামবাসী। স্থানীয়রা জানান, রাত ১২ ঘটিকার দিকে আব্দুস সোবাহান জুনাইদ বালেন্দা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ জান্নাতি খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে। পরে ঘরের মধ্যে শব্দের কারনে জান্নাতির মা ফরিদা বেগম প্রবেশ করে দেখেন যে, তারা আপত্তিকর অবস্থায় আছে। তারপরে গ্রামবাসী এসে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেন সে এর আগেও দুই বার এই বাড়িতে এসেছিল।
পরে আব্দুস সোবাহান ওরফে জুনাইদের দুলাভাই মোঃ আবু সাইদ ও শিপন রাত্রে এসে গ্রামবাসীর সাথে মিমাংসার প্রস্তাব দেন। অতপর গ্রাম্য মাতবর মোঃ সজব আলী, আবু হানিফ, মুন্টু মিয়া সহ গ্রামবাসীগণ বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং জুনাইদের আত্বীয় স্বজন তাহা মেনে নেন ।
পরে ভোড় সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় বালেন্দা গ্রামের পুরাতন মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দেন মোহরের বিনিময়ে মোঃ আব্দুস সোবাহান ও মোছাঃ জান্নাতি খাতুনের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
পরে আব্দুস সোবাহান জুনাইদের দুলাভাই আবু সাইদের বাসায় সকালেই বর ও কনেকে নিয়ে যায় আবার বিকালেই আবার বউ বাড়ির বাইরে রেখে বর পালিয়ে যায় ।
কনের চাচা আব্দুর রশিদ জানান, গতকাল বরের দুলাভাই আমাকে ডেকে বলেন, আমার বাবা আমাকে চাপ দিয়েছেন বাড়িতে যেন বর কনেকে না রাখি। আপনি এদেরকে বাড়িতে নিয়ে যান আমরা আগামীকাল মুরুব্বীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরাইল নিয়ে যাব। কিন্তু আমি বলি গ্রামের মুরুব্বীদের সাথে পরামর্শ
ছাড়া নিয়ে যেতে পারব না। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি বর কনেকে ফাঁকি দিয়ে তার চাচার সাথে পালিয়েছে।
জানা যায়, জুনাইদের দুলাভাইয়ের বাসা থেকে বর ও কনেকে বরের চাচার হোন্ডাতে বালেন্দা গ্রামে নিয়ে যায় বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার দিকে এবং বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে বর কনেকে বলে তোমার মাকে ডাক, তারপর কনে জান্নাতি তার মাকে ডাকতে গেলে পিছনে তাকাতেই দেখে জুনাইদ নেই। তারপর কনের চাচাতো ভাই, চাচাসহ গ্রামের অনেকে খুঁজে আর বরের সন্ধান পায় নাই।
বালেন্দা গ্রামের মাতবর মুন্টু মিয়া জানান, আমরা চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানিয়েছি তিনি আমাদের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারদানে সম্মত আছেন। এছাড়া আমরা কোর্টে মামলা করার প্রক্রিয়া করছি ।