আজ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অজাহা ত্রিপুরা,লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি।
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড হারগাজা, ফকিরা খোলা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।উত্তোলনের ফলে চাষাবাদের জমি, জনবসতি, সরকারি কোটি টাকা ব্যয়েগ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রশাসনের কড়াকড়ি ভূমিকার ফলে কয়েক সপ্তাহ বন্ধ ছিল বালু উত্তোলন। সম্প্রতি আবারো প্রতিযোগিতা দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন চলছে। ওই ইউনিয়নের প্রভাবশালীরা এইসব অরাজকতার নেপথ্যে থাকায় সবাই ম্যানেজ হয়ে চুপ করে আছে বলে জানান,স্থানীয়রা।এই ব্যপারে প্রতিকার চেয়ে(০৬অক্টোবর২০২৪) লামা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন শাকেরা বেগম।অভিযুক্তরা হলো ১। সাঈদ আলী, ২। ফজর আলী, সর্বপিতা- মৃত আব্দুর রশিদ, ৩। অজুফা বেগম, স্বামী- মৃত আব্দুর রশিদ, ৪। রিদুয়ান, পিতা- নেজাম উদ্দিন, ৫। রেজাউল করিম, ৬। নুরুল আবছার ও ৭। নুর নবী, পিতা- ফজল করিম, পিতা সর্বসাং- ফকিরা খোলা, ০২নং ওয়ার্ড, ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন।শাকেরা বেগম অভিযোগে লেখেন,যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আবেদনকারী একজন উল্লেখিত ঠিকানার স্থায়ী বাসিন্দা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সহজ-সরল শান্তি প্রিয় মহিলা হই। পক্ষান্তরে বিবাদীগণ দেশের প্রচলিত আইন অমান্যকারী, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও ব্যবসায়ী হয়। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী মৌজায় আমার নামীয় হোল্ডিং নং-আর/৩৮৬ এর আন্দর ০.৬০ (ষাট শতক) জমি সরকারী ভাবে রেকর্ড ভুক্ত আছে এবং আমরা উক্ত জমি শান্তি পূর্ণভাবে ভোগ দখলে ছিলাম। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বিগত ১১/০৯/২০২৪ইং তারিখ ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫/০৯/২০২৪ইং তারিখ বাদী বিবাদী উভয় পক্ষ হাজির হওয়ার আদেশ দিলেও বিবাদীগণ ক্যাম্পে হাজির হয় নি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১১/১০/২০২৪ইং তারিখ উক্ত জমি হইতে ০২টি মেশিন বসিয়ে প্রায় আনুমানিক ২০০ গাড়ির মত বালি উত্তোলন করিয়া ও মজুদ করিয়াছে। তাহা দেখিয়া আমি এবং আমার নাতি এন্ড্রয়েড মোবাইলে প্রমাণ সরুপ ভিডিও এবং ছবি উঠানোর সময় উল্লেখিত বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে কিল ঘুষি লাথি মারে এবং আমরা ০২ জনের ০২টি মোবাইল সেট এবং আমার হ্যান্ড ব্যাগে রক্ষিত ১৭,০০০/-টাকা ছিনিয়ে নিয়ে খালী ব্যাগটি ছিড়ে আমার মুখের উপর ছুঁড়ে মারে। তখন হইতে অদ্য পর্যন্ত বিবাদীগণ আমার জমি হইতে অবৈধভাবে( আনুমানিক)প্রায় ৪,০০০/-গাড়ি বালু উত্তোলন করিয়াছেন ও বর্তমানে উক্ত জায়গায় মজুদ আছে। বালু উত্তোলনের ফলে আমার জমি নদীর সাথে বিলীন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচারের আশায় মহোদয়ের আশ্রয় নিতে বাধ্য হইলাম।অতএব, মহোদয় অধীনের প্রতি সদয় হইয়া উল্লেখিত বিবাদীগণের বালু উত্তোলন ও উত্তোলনকৃত বালি জব্দ করতঃ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আমার জমি বিলীন কারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করিতে যেন হুজুরের বিহীত মর্জি হয়।এই বিষয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ-আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।