আজ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহিন হাওলাদার / বরিশাল প্রতিনিধি/
বরিশালের বাকেরগঞ্জে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পাদ্রীশিবপুর মুহাম্মদীয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন-উল-হাবুলের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মুহাম্মদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন-উল-হাবুল কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নিয়মবহির্ভূতভাবে মাদ্রাসার “সহকারী সুপার, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী” এই তিনটি পদে শনিবার (২১ জানুয়ারি) নিয়োগ দিতে পরীক্ষার আয়োজন করেন। উক্ত তিনটি পদে নিয়োগ দিতে অধ্যাপক মহসিন-উল-হাবল নিয়োগ পরীক্ষার তিনদিন আগেই তার পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে পরীক্ষার মনগড়া প্রশ্নপত্র ও উত্তর ফাঁস করেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আকমল হোসেনও জড়িত বলে একাধিক সুত্র জানায়।
এ বিষয়ে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ পেলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি শুক্রবার রাতেই মাদ্রাসা সুপারকে বিষয়টি অবহিত করে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার তিনটি পদে জনবল নিয়োগের নামে পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন-উল-হবুল প্রায় ২০ লাখ টাকার বাণিজ্য করে সেই অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করছেন। নিয়োগ পরীক্ষা এবং অর্থ আত্মসাতের সাথে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নয়। নিয়োগ পরীক্ষার পুরো বিষয়টি দেখভাল করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন-উল-হাবুল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল ব্যক্তিগত শত্রুতা ঘায়েল করতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকমল হোসেন বলেন, মোহাম্মদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে তিনি একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। তাই তিনি বিশেষ কারনে নিয়োগ প্রক্রিয়া লিখিত চিঠির মাধ্যমে বন্ধ রেখেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।