আজ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার রায়হান ফেরদৌসসহ দুই সাংবাদিক ও ঝালকাঠির নলছিটি পৌরকাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটুসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ রবিবার নলছিটি পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বাদী হয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নলছিটি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলায় যমুনা টেলিভিশনের ৩৬০ ডিগ্রি নামের একটি অনুষ্ঠানে নলছিটি পৌরসভার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এতে নলছিটির স্থানীয় সাংবাদিক মু. মনিরুজ্জামান মনির, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম টিটু ও পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলামসহ চারজনকে আসামী করা হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু ট্রাস্টের অর্থায়নে নলছিটি পৌরসভার দুই কোটি টাকা বরাদ্দের আওতায় ৫০টি গভীর নলকূপ ও ১১৯টি সৌর স্ট্রিট লাইট স্থাপন কাজের টেন্ডারে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে যমুনা টেলিভিশনের ৩৬০ ডিগ্রি অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে।
কতিপয় জামায়াত-শিবির চক্র নলছিটি পৌরসভার উন্নয়নে ঈর্ষান্নিত হয়ে এবং পৌরবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা এ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে নলছিটি পৌরসভা ও পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খানের সম্মানহানি করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার আসামি নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যমুনা টিভিতে যা দেখানো হয়েছে তার স্বপক্ষে আমার কাছে সকল তথ্য-প্রমান রয়েছে।
মামলার বাদী নলছিটি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, মামলার আসামিরা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, এতে সহযোগিতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পৌরসভার মানহানি করায় মামলা দায়ের করেছি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।