আজ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি : – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় থেকেই করতেন ছাত্র ইউনিয়ন।পরে শুরু করেন কমিউনিস্ট পার্টি। শোষিত মানুষ অধিকার আদায় ও লবণ পানি বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন প্রথম সারির নেতা। ১৯৯১ সালে খুলনা-৬ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে কাস্তে প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান মো. রশীদুজ্জামান। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেননি। এবারের সংসদ নির্বাচনেও আলোচনায় ছিলেন না। দলের কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসীকে চমকে দিয়ে নৌকা পেলেন রশীদুজ্জামান।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দেন ১৮ জন। এর মধ্যে বর্তমান সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সাংসদ সোহরাব আলী সানা, সাবেক সাংসদপুত্র রাশেদুজ্জামান রাসেল আলোচনায় ছিলেন। রশীদুজ্জামান দলীয় মনোনয়ন পাবেন এলাকার কেউ কল্পনাও করেননি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়ও ছিলেন না তিনি। রোববার মনোনয়ন ঘোষণার পর স্থানীয়রা ভেবেছিলেন, সাবেক এমপিপুত্র রাশেদুজ্জামান রাসেল নৌকা পেয়েছেন। এ খবরে রাসেলের অনুসারীরা মিষ্টি বিতরণও করে। শেষে জানা গেছে প্রার্থী রাশেদুজ্জামান নন, কমরেড রশীদুজ্জামান। তিনি পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের মালথ গ্রামের বাসিন্দা।
রশীদুজ্জামানের মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বর্তমান সংসদ নানা অনিয়মের কারণে স্থানীয় মানুষের রোষানলে পড়ে নিগৃহীতও হয়েছেন। অন্যদিকে মো. রশীদুজ্জামান মোড়ল গরিব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। জনপ্রতিনিধি থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম বা দুর্নীতির কোনো অভিযোগ করেনি কেউ। দলীয়ভাবে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে তিনি নৌকা কাণ্ডারি হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে এলাকায় পরিচিত ছিলেন কমরেড রশীদুজ্জামান নামে। কাস্তে প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেন তিনি কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় স্থানীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও ছিল। সেই সূত্রে টানা দু’বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জামানত হারান। পরে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে পদ-পদবিও হারাতে হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন
দলে কোণঠাসা অবস্থায় থেকেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে তৎপরতা চালিয়ে এসেছেন। তারই ফলস্বরূপ এবার দল থেকে তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে খুলনা ৬- পাইকগাছা কয়রার আ’লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত মোঃ রশিদুজ্জামান মোড়ল বলেন,আমি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তিনি আমাকে নৌকা দিয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মী কে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেওয়ায় কয়রা পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে,আমি মাঠি থেকে উঠে এসে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরে সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে নৌকা বিজয়ী করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবো।