আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মোজাম্মেল নামে এক সৌদি প্রবাসীকে এডিপির নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া কে কেন্দ্র করে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া উক্ত সৌদি প্রবাসীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ও দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করার ও ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর নাম মোহাম্মদ মোজাম্মেল। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াড়ের রশিদের পাড়ার ওবায়দুল হকের ছেলে। অনেক বছর প্রবাসে থাকার সুবাধে তিনি মুন্সি পাড়ার পুকুর সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন ৫ তলা ভবন মোজাম্মেল নামে। এছাড়া তিনি এলাকায় নিরবে গরীব অসহায়দের সাহায্য সহ সামাজিক নানা উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির কষ্টে ছিলাম। যখন গত বছর দেড়েক আগে মুন্সি পুকুরের পানি ব্যাপক ভাবে নষ্ট হয়েছিল দুষ্কৃতকারীদের বিষ প্রয়োগ করার কারনে।তখন পুকুরের সব মাছ মারা যাওয়ার পর পুরো এলাকার পরিবেশ পঁচা গন্ধে থাকা দায় হয়েছিল মানুষের। ঐসময়ে এই মোজাম্মেল টাওয়ারের মালিক মোজাম্মেল সহজ শর্তে এলাকার সর্বসাধারণের জন্য তাঁর নিজ খরচে বসানো ভবনের পাইপ থেকে ৪০-৫০ পরিবারকে পানি সরবরাহ দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ৫ তলা ভবনের পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়াশ তখন তিনি এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলায় একটি গভীর নলকূপ পাওয়ার জন্য বরাদ্দ চায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে উপজেলা থেকে টিউবওয়েলটি বরাদ্দ দে সাধারণ জনসাধারণ বলে ।মোজাম্মেল না হলে এলাকার গরীব মানুষের টিউবওয়েল পেতে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হত বলেও স্হানীয় সূত্রে জানা যায় ।
এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল জানান,বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাকে সচ্ছল ব্যক্তি,প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়স্বজন বলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে নলকূপ বরাদ্দ কে কেন্দ্র করে লোহাগাড়া যুগান্তর প্রতিনিধি নাজিম। তাছাড়া আমার সম্মান হানি করতে নাজিম উদ্দীন রানাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অপপ্রচার করছে একটি কুচক্রী মহল। এমনকি তিনি বলেন,সরকার নলকূপ বরাদ্দ দেন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে।আমি এলাকাবাসীর পক্ষে দরখাস্তের মাধ্যমে আবেদন করি।সরকারের নীতিমালা অনুসারে উপজেলা থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত নলকূপটি আমার বিল্ডিং এর পাশে নিয়ম মেনেই বসিয়েছেন বলেও জানান তিনি।তাছাড়া এই সৌদি ব্যবসায়ী গভীর নলকূপটির বিদ্যুৎ সংযোগ তার ভবন থেকে দেওয়া হয় নাই বলে দাবি করে। এমনকি তিনি প্রতিবেদকে অনুরোধ করে আরও বলেন নলকূপ বরাদ্দ এর বিষয় সম্পর্কে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে। পাশাপাশি যুগান্তর প্রতিনিধি আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে মনগড়া সংবাদ ছাপিয়েছে টাকার বিনিময়ে কোন একটি মহলকে খুশি করার জন্য । তাই এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।তাছাড়া তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন কে উক্ত বিষয়ে অভিযোগ করে সুষ্ঠু তদন্ত ও এই ঘটনার অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন রানার দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেছেন তিনি।
এই এডিপির গভীর নলকূপ বরাদ্দ এর বিষয়ে মুঠোফোনে সাবেক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সুপারভাইজার কমরুর হুদা থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোজাম্মেল উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর নলকূপটি বরাদ্দ পায়।তবে আমাকে জড়িয়ে যুগান্তরের প্রতিনিধি মোটা অংকের বিনিময়ে টিউবওয়েলটি বরাদ্দ এর প্রসঙ্গে যে কথা বলছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণিত। বরাদ্দপ্রাপ্ত টিউবওয়েল মোজাম্মেল কিভাবে পেয়েছে এবং কি টাকা পয়সা লেনদেন করেছে তা আমি কিছুই জানি না।এটা মোজাম্মেল এর একান্ত বিষয়। আমি কিন্তু এই টিউবওয়েল এর সাথে মোটেই সম্পৃক্ত নয়।
ভবনের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে বারবার বলে বাড়ির মালিক কোথায় এবং নাম্বার দেওয়ার জন্য বলে । একপর্যায়ে ঐ সাংবাদিক নামধারী হুমকি স্বরূপ বলে বাড়ির মালিককে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বল নতুবা আমার বিকাশ নাম্বারটা দিও। এছাড়া এই টিউবওয়েল নিয়ে নাকি নিউজ করে দিবে।